1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ভুট্টা থেকে তৈরি হচ্ছে পচনশীল পরিবেশবান্ধব ব্যাগ

রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩

ভুট্টা থেকে তৈরি হচ্ছে পচনশীল পরিবেশবান্ধব ব্যাগ। ছয় মাস ধরে এসব ব্যাগ উৎপাদন করছে রাজশাহীর পবা এলাকার ক্রিস্টাল বায়ো টেক নামে একটি প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে এসব ব্যাগ। তবে পলিথিনের বিকল্প হলেও এর সঙ্গে পেরে উঠছে না পণ্যটি। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে পরিবেশের ক্ষতিকারক পলিথিনের বিকল্প হয়ে উঠবে এ ব্যাগ।

রাজশাহীর পবার আলিমগঞ্জ এলাকায় ক্রিস্টাল বায়ো টেক কারখানা ঘুরে দেখা গেছে, আমদানি করা ভুট্টার কাঁচামাল স্টাচ (ভুট্টার হলুদ অংশ তুলে ফেলার পর সাদা অংশ) দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এসব ব্যাগ। কাঁচামাল শুরুতে মেশিনে দিয়ে তাপ ও বাতাসের সাহায্যে ফুলিয়ে পলিথিনের মতো ব্যাগ তৈরি করা হচ্ছে। তবে আমদানিনির্ভর হওয়ায় এসব ব্যাগ পলিথিনের চাইতে খরচ একটু বেশি।

তবে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা বলছেন, শুরুতে আমদানিনির্ভর হলেও আগামীতে নিজস্বভাবেই ভুট্টা থেকে কাঁচামাল উৎপাদন করা হবে। এতে পলিথিনের কাছাকাছি দাম চলে আসবে। বর্তমানে একটি বড় সাইজের ব্যাগের দাম রাখা হচ্ছে চার টাকা, যার উৎপাদন খরচ আড়াই টাকার বেশি।

প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী ইফতেখারুল হক বলেন, কয়েক বছর ধরেই পরিবেশবান্ধব ব্যাগ উৎপাদনের চেষ্টা করা হচ্ছিল। কয়েক ধরনের ব্যাগের আইডিয়া এসেছে। তবে এটি আমাদের কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ভুট্টার ওপরের হলুদ অংশ ফেলে দেওয়ার পর সেখানে যে অংশটি থাকে এটিকে ভুট্টার স্টাচ বলে। সেখান থেকে হয় এই ব্যাগের কাঁচামাল। এই কাঁচামাল দিয়েই এই ব্যাগ উৎপাদন করা হয়। মূলত এটি জার্মান প্রযুক্তি। তবে এর মেশিন আমদানি করা হয়েছে ভারত থেকে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা এর কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করছি। আমাদের এখানে প্রতিদিন দুই লাখ পিস ব্যাগ উৎপাদন করা সম্ভব। চাহিদা কম থাকায় আমরা একটু কম উৎপাদন করছি। এটি একটি ভালো এবং সুবর্ণ সুযোগ। এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম পলিথিন নিষিদ্ধ করে। আমরা পলিথিনের বিকল্প হিসেবে এই পণ্যটি উৎপাদন করছি। এটির বিদেশেও চাহিদা আছে। আমরা এরইমধ্যে প্রথম চালান মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি করেছি।

তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের সহযোগিতা ও সাহায্য পেলে এ ব্যাগ আরও ছড়িয়ে পড়বে। মূলত পলিথিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়াবে এই ব্যাগ। অনেক সচেতন মানুষই পলিথিন আর ব্যবহার করতে চান না, তবে তারা জানতে পারেন না যে এর বিকল্প কী। পাটের ব্যাগের দামও অনেক বেশি পড়ে যায়। আমাদের এই উৎপাদিত ব্যাগের দাম অনেক কম পড়বে। ফলে প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে এ ব্যাগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে এবং আমাদের পরিবেশকেও রক্ষা করবে।

ভুট্টা থেকে ব্যাগ উৎপাদন সম্পর্কে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, পলিথিন ক্ষতিকারক। এর বিকল্প হিসেবে যদি কোনো ব্যাগ আসে সেটাকে আমরা স্বাগত জানাবো। এটি যাতে সহজে বাজারজাত করা যায় এবং ব্যাগ ছড়িয়ে দিতে যা যা করার জেলা প্রশাসন তা করবে।


সর্বশেষ - রাজনীতি