1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

রিকশাচালক ছাত্রলীগ নেতা – তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অবস্থার চিত্র

eb-editor : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ফাগুয়াড়দিয়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি টিপু সুলতান সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে আঘাত পেয়ে অমানবিক জীবন যাপন করছিলেন। চিকিৎসার খরচ মেটানোর জন্য ঘুরেছেন দ্বারে দ্বারে। কিন্তু সমাধান মেলেনি। পরে বাধ্য হয়ে নাটোর থেকে ঢাকায় এসে আয়ের পথ হিসেবে বেছে নেন ব্যাটারিচালিত রিকশা।

একটি টিভি চ্যানেলে তার অমানবিক জীবনযাপনের খবর প্রচারের পর অনেকে দুঃখ প্রকাশ করে সহানুভূতি জানান। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মালেক শেখ, গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির মোড়ল ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পী।

প্রধানমন্ত্রী তার দুরবস্থার খবর জেনে চিকিৎসা সহ যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন। টিপু জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাকে চাকরির আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে।

কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে দায় এড়াতে টিপুকে “দলের কেউ নয়” বলে দাবি করেছেন তারই এলাকার সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল। প্রেস কনফারেন্স করে বলেছে ২০০৪ সালের পর থেকে সেই ইউনিয়নের কোনো সম্মেলন হয় নি।

“টিপু সুলতান ছাত্রলীগের কেউ না!” এমন শিরোনামে বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদও প্রচারিত হয়েছে।

স্থানীয় সাংসদই টিপুর দলীয় পরিচয় স্বীকার করে নি বলে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা করার সংবাদে লেখা হয়েছে – “ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি দাবি করা” টিপু সুলতানকে সহযোগিতা দেওয়ার কথা।

ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে জানা যায়, সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুলের দাবি মোটেই সত্যি নয়।
২০১৮ সালের ২৯ এপ্রিল বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত একটি খবরের শিরোনাম – নাটোরে ছাত্রলীগ সভাপতি ৫ দিন ধরে নিখোঁজ!

খবরে বলা হয়েছে, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় টিপু সুলতান নামে একটি ইউনিয়নের ছাত্রলীগ সভাপতি গত পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজ টিপুর সন্ধান চেয়ে আয়োজিত মানববন্ধনের ব্যানারে স্কুল ড্রেস পরা টিপুর ছবি দেখা যাচ্ছে।

স্কুল জীবন থেকে যে ছেলেটি দলের জন্য কাজ করছে তাকে সহায়তা না করা – যতটা অমানবিক, একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য তারচেয়ে অমানবিক বিষয় হচ্ছে, “দলের কেউ না” অপবাদ পাওয়া। ইউনিয়ন শাখার সভাপতি হয়ে যদি স্বীকৃতি না পায় তাহলে পদ ছাড়া যারা বছরের পর বছর কাজ করেছে তাদের অবস্থা কী তা অনুমেয়!

প্রেস কনফারেন্সে টিপুকে “দলের কেউ না” এবং “সে মাদকাসক্ত” বলে অভিযুক্ত করলেও প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর সাংসদ বকুল মোবাইলে ফোন করে টিপু সুলতানের বাবা-মায়ের সঙ্গে দীর্ঘ সময় কথা বলেন। টিপু সুলতান ও তার বোন সেবার চাকরির ব্যবস্থা ও সহযোগিতার আশ্বাসও তিনি দিয়েছেন।

একটি সূত্রের মতে দলীয় কোন্দলের কারণে টিপুকে প্রতিপক্ষ গ্রুপের কর্মী বলে সন্দেহ করে তার বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন স্থানীয় সাংসদ বকুল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দায়িত্বশীল নেতাদের কর্মীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি, কোন্দলের কারণে মানবিক সহানুভূতি জলাঞ্জলি দেওয়া এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীদের অবহেলা করার সাধারণ চিত্র এই ঘটনা।


সর্বশেষ - রাজনীতি