1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাংলাদেশ-ভারত রেলের টিকিট বিক্রি শুরু

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ২৪ মে, ২০২২

দুই বছর বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত রেল যোগাযোগ। আজ থেকে পাওয়া যাচ্ছে ট্রেনের টিকিট। কমলাপুর রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল ৮টা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনের নির্ধারিত কাউন্টারে পাওয়া যাচ্ছে টিকিট। নির্ধারিত কাউন্টারে ঢাকা থেকে কলকাতা চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং নতুন চালু হওয়া মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট পাওয়া যাবে।

এর আগে গত রোববার (২২ মে) বাংলাদেশ রেলওয়ে মঙ্গলবার (২৪ মে) থেকে টিকিট বিক্রির কথা জানিয়েছিল।

মিতালী এক্সপ্রেস

২০২১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই রেলপথের দূরত্ব ৫৩০ কিলোমিটার। এর মধ্যে ভারত অংশে ৮৪ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অংশে ৪৪৬ কিলোমিটার। ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) থেকে হলদিবাড়ি হয়ে সীমান্ত পার হবে। তারপর বাংলাদেশের নীলফামারীর চিলাহাটি, নীলফামারী সদর, পার্বতীপুর, হিলি, নাটোর, ঈশ্বরদী আর টাঙ্গাইল হয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছাবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে সোম ও বৃহস্পতিবার মিতালী এক্সপ্রেস ছেড়ে যাবে। ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে, ভারতে পৌঁছাবে সকাল ৭টা ৫ মিনিটে। ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে রবি ও বুধবার। ট্রেনটি ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ছাড়বে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে পৌঁছাবে রাত ১০টা ৩০ মিনিটে। এর মধ্যে ট্রেনটি দিনের বেলা ৪৫৬ আসন নিয়ে এবং রাতে ৪০৮ আসন নিয়ে চলাচল করবে।

এই পথের জন্য ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে এসি চেয়ার দুই হাজার ৭০৫ টাকা, এসি সিট তিন হাজার ৮০৫ টাকা এবং এসি বার্থ চার হাজার ৯০৫ টাকা। এর বাইরে ৫০০ টাকা ভ্রমণ কর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চলাচল শুরু হলে ট্রেনটিতে চিলাহাটি স্টেশন থেকেও যাত্রীরা ওঠানামা করতে পারবেন। এক্ষেত্রে চিলাহাটি থেকে নিউ জলপাইগুড়ির ভাড়া হবে এক হাজার ২৩৫ টাকা। মৈত্রী, বন্ধন, মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনের আয় ভাগাভাগি করে নেবে বাংলাদেশ ও ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। মৈত্রী এক্সপ্রেসের ৭৫ শতাংশ আয় পায় বাংলাদেশ, ২৫ শতাংশ যায় ভারতে। বন্ধন এক্সপ্রেসের আয় ৫০ শতাংশ করে দুই দেশের মধ্যে ভাগাভাগি হয়। আর মিতালী এক্সপ্রেস চালু হলে আয়ের ৮০ শতাংশ পাবে বাংলাদেশ। ২০ শতাংশ পাবে ভারতীয় রেলওয়ে।

মৈত্রী এক্সপ্রেস

২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল ঢাকা-কলকাতা রুটে মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয়। ট্রেনটি সপ্তাহে চারদিন (বুধবার, শুক্রবার, শনিবার এবং রোববার) ঢাকা থেকে কলকাতা যায়। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে সকাল সোয়া ৮টায় ছেড়ে কলকাতা চিতপুর স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টায়। কলকাতা থেকে ঢাকা আসে সপ্তাহে চারদিন (সোমবার, মঙ্গলবার, শুক্রবার এবং শনিবার)। কলকাতার চিতপুর স্টেশন থেকে ট্রেন ছাড়ে সকাল ৭টা ১০ মিনিটে। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছায় বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে।

২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মৈত্রী এক্সপ্রেসের টিকিটের দাম পুনর্নির্ধারণ করে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মো. হুমায়ূন কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশ অনুযায়ী, ৫৩৮ কিলোমিটার এই রেলপথে ঢাকা-কলকাতা এসি সিটের ভাড়া তিন হাজার ৫০৫ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া দুই হাজার ৫০৫ টাকা। এক থেকে পাঁচ বছরের শিশুদের জন্য ৫০ শতাংশ ছাড় রয়েছে। এক্ষেত্রে পাসপোর্ট অনুসারে বয়স নির্ধারিত হবে। সিঙ্গেল কেবিনে তিনটি সিট এবং ডাবল কেবিনে ছয়টি সিটের টিকিট দেওয়া হয়।

বন্ধন এক্সপ্রেস

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর বন্ধন এক্সপ্রেস চালু হয়। এই ট্রেনটি খুলনা-কলকাতা রুটে সপ্তাহে দুদিন (রোববার ও বৃহস্পতিবার) চলাচল করবে। ট্রেনটিতে এসি সিট ও এসি চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। খুলনা-কলকাতার এসি সিটের ভাড়া দুই হাজার পাঁচ টাকা। এসি চেয়ারের ভাড়া এক হাজার ৫০৫ টাকা। পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের ভাড়া হবে মূল ভাড়ার ৫০ শতাংশ।

টিকিট সংগ্রহ

বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র জানায়, মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেসে ঢাকা-কলকাতা বা নিউ জলপাইগুড়ি ভ্রমণের জন্য টিকিট কাটতে হবে কমলাপুর রেলস্টেশন ও চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে। এর বাইরে কোথাও এসব ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয় না। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত টিকিট দেওয়া হয়। পাসপোর্টের মূলকপি দেখিয়ে নির্দিষ্ট ফরমে অগ্রিম টিকিট চেয়ে আবেদন করতে হবে।

টিকিট ফেরত

কোনো কারণে যেতে না পারলে টিকিট ফেরত দেওয়ার সুযোগ রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে যাত্রা শুরুর ১২০ ঘণ্টা আগে ফেরত দিলে সার্ভিস চার্জ বাবদ ২৫ শতাংশ, ১২০ ঘণ্টার কম ও ৯৬ ঘণ্টার বেশি সময়ের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ বাবদ ৫০ শতাংশ ভাড়া কেটে নেওয়া হবে প্রতি টিকিটে। ৯৬ ঘণ্টার কম ও ৭২ ঘণ্টার বেশি সময়ের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ বাবদ টিকিটের মূল্যের ৭৫ শতাংশ টাকা কর্তনযোগ্য। অন্যান্য ক্ষেত্রে কোনো মূল্য ফেরতযোগ্য নয়।

বাংলাদেশ-ভারত ট্রেন চলাচলের সার্বিক বিষয় নিয়ে কথা হয় বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, এই তিনটি রুটে ট্রেনে ভ্রমণে যাত্রীদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস চালুর প্রস্তুতি চলছে। এর মধ্যদিয়ে দুই দেশে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। এসব রুটে রেলওয়ের পূর্বনির্ধারিত ভাড়াই বহাল থাকবে।

তিনি বলেন, নিরাপদ ও আরামদায়ক যাতায়াতে ট্রেন এখন সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন। সড়কপথে ঝক্কি-ঝামেলা, যানজট এড়াতে এখন সবাই ট্রেনে যাতায়াত করতে চান। তাদের জন্য মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালী এক্সপ্রেস সুবর্ণ সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি

নির্বাচিত

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য রুপার মেডেল-স্মার্ট কার্ড

কওমি শিক্ষায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার পাঠ্যসূচির দাবি

বিশ্বে কৃষি উন্নয়নের এক অনুকরণীয় মডেল এখন বাংলাদেশ

বসিলা এলাকার সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ৫ আসামি গ্রেফতার

কক্সবাজারের ১৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত

স্থানীয় উৎস থেকে গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়াচ্ছে সরকার

থাই মিলিটারি ব্যাংকের মডেলে বড় হতে পারে ট্রাস্ট ব্যাংক

সাইকেলের জন্য পৃথক লেন করবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন

আমরা কাউকে বলতে যাইনি আমাকে এখনই সদস্য করেন: ব্রিকস প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী