অতি মুনাফার আশায় যারা কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজার থেকে ১০০ টাকার বেশি দরে ডলার কিনেছিলেন তাদের মাথায় হাত। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা ডলার হোঁচট খেয়ে এখন উল্টো দিকে হাঁটছে।
বৃহস্পতিবার খোলাবাজারে ডলারের দর ৯৬ টাকায় নেমে এসেছে। মঙ্গলবার হঠাৎ করেই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর এই মুদ্রার দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে ১০৪ টাকায় উঠে যায়। বুধবার তা ১০০ টাকায় নেমে আসে। বৃহস্পতিবার তা আরও কমে ৯৬ টাকায় নেমে এসেছে।
আরও কমবে বলে জানিয়েছেন এই বাজারের ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ডলার ব্যবসায়ী বলেন, ‘যারা পাগলের মতো ডলার কিনেছিলেন তারা সবাই ধরা। সবাই এখন বিক্রি করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন। সরবরাহ বেড়েছে; তাই দাম কমছে। আরও কমবে বলে মনে হচ্ছে।’
বেসরকারি ইস্টার্ন ও প্রাইম ব্যাংক বৃহস্পতিবার ৯৮ টাকা দরে নগদ ডলার বিক্রি করেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংক থেকে ১ ডলার কিনতে খরচ হয়েছে ৯৩ টাকা ৯০ পয়সা। অগ্রণী ব্যাংক ডলার বিক্রি করেছে ৯২ টাকা ৫০ পয়সায়। সোনালী ব্যাংক থেকে ডলার কিনতে লেগেছে ৯২ টাকা ৪৫ পয়সা।
মহামারি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় আমদানি অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বাড়ায় বাজারে ডলারের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।
চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের সোমবার পর্যন্ত (সাড়ে ১০ মাসে, ২০২১ সালের ১ জুলাই থেকে ১৬ মে পর্যন্ত) ৫৫০ কোটি (৫.৫০ বিলিয়ন) ডলারের মতো বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
খোলাবাজারের ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো হাত নেই। তবে ব্যাংকগুলো বেশি দামে ডলার বিক্রি করলে বাংলাদেশ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করে থাকে। কেননা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে আন্তব্যাংক দরে ডলার কিনে সেই ডলার বিক্রি করে থাকে ব্যাংকগুলো।
এর আগে দেখা গেছে, ব্যাংকগুলোর বিক্রি করা ডলারের দর আর আন্তব্যাংক রেটের মধ্যে বেশি ব্যবধান হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেই পার্থক্যের একটা সীমা নির্ধারণ করে দিত; সেটা এক থেকে দুই টাকার মধ্যে থাকত।