1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ঈদ সামগ্রী বিতরণের নামে তারেক রহমানের চাঁদাবাজি: তৃণমূলে ক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৩০ মে, ২০২০

বিয়ের দাওয়াত খেতে গেলেও চাঁদা দিতে হয় – বিএনপির ওয়ার্ড যুগ্ম আহবায়ক আবু সাঈদ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঈদ সামগ্রী বিতরণ করতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা তোলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ নিয়ে বগুড়ায় নেতাদের চাঁদাবাজিতে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। ঈদের আগে বগুড়া শহর বিএনপি পৌর সভার ২১টি ওয়ার্ডে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিতরণের সম্পূর্ণ টাকাই চাঁদা বা অনুদানের নামে ধনাঢ্য নেতা ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে তোলা হয়েছে। এতে নিয়োজিত ব্যক্তিরা তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠ বলেই সকলে অবগত।
তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা বলেছেন, ঈদ সামগ্রীর প্যাকেট নিতে নেতাদের ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হয়েছে। যে ওয়ার্ড থেকে টাকা দেওয়া হয়েছে সেখানে ৫০ প্যাকেট আর যারা টাকা দেয়নি তাদেরকে দেওয়া হয়েছে ২৫ প্যাকেট। আবার তিনটি ওয়ার্ডে কমিটি না থাকায় সেখানকার নেতা-কর্মীদেরকে প্যাকেট দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
শহর বিএনপির সভাপতি মাহবুবর রহমান বকুল দাবি করেছেন ঈদের আগে ২১টি ওয়ার্ডে ৪ হাজার প্যাকেট ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু নেতা-কর্মীরা বলেছেন বাস্তবে এক হাজার প্যাকেটও বিতরণ করা হয়নি।
বগুড়া শহর বিএনপির ১৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আব্দুল মজিদ বলেছেন, শহর বিএনপি থেকে ৫০ ঈদ সামগ্রী নিতে ১০ হাজার দিতে হয়েছে। প্রতি প্যাকেটে ৩ কেজি ভাতের চাল, ১ কেজি পোলায়ের চাল, আধা লিটার সয়াবিন তেল এবং ১ কেজি লাচ্ছা সেমাই দেওয়া হয়েছে। যার বাজার মূল্য ৩৫০ টাকার ওপরে না। তিনি বলেন, আমি নিজের টাকায় আরও ১৫০ প্যাকেট ঈদ সামগ্রী তারেক রহমানের নামে বিতরণ করেছি।
১৩ নং ওয়ার্ডের যুগ্ম আহবায়ক আবু সাঈদ বলেন, তিনি ঈদ সামগ্রী নিতে কোনো টাকা দেননি। তাকে দেওয়া হয়েছে ২৫ প্যাকেট। ১৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মুক্তার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, তিনি ১৫ হাজার টাকা দিয়ে প্যাকেট পেয়েছেন ৫০ টি। তিনি আরও বলেন, এর আগেও নিজের টাকা দিয়ে কম্বল বিতরণ করে শহর বিএনপির নেতাদের নাম বলতে হয়েছে। শুধু তাই নয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এমনকি বিয়ের দাওয়াত খেতে গেলেও চাঁদা দিতে হয়।
অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, শহরের একটি ওয়ার্ডে ২৫ প্যাকেট ঈদ সামগ্রী দেওয়া হলে সেখানকার কমিটির ২১ জন ২১ প্যাকেট নেওয়ার পর ৪ প্যাকেট অন্যদের দেওয়া হয়েছে। ২১ টি ওয়ার্ডের অনেক নেতার কাছ থেকে ঈদের আগে ঈদ সামগ্রী বিতরণের জন্য চাঁদা নিয়েছেন তারেক রহমানের মনোনীত শহর বিএনপির নেতারা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন ওয়ার্ড বিএনপির নেতা বলেন, শহর বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা থাকার পরেও বিভিন্ন কর্মসূচিতে তৃণমূলের নেতাদের ওপর চাঁদা চাপিয়ে দেন। দলের স্বার্থে তারা কোনো প্রতিবাদ করতে পারেন না। শহর বিএনপির ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৬-৭ এবং ১১ নং ওয়ার্ডে বিএনপির কোনো কমিটি না থাকায় সেখানে ঈদের আগে তারেক রহমানের উপহার পাঠানো হয়নি বলে জানিয়েছে ওই তিন ওয়ার্ডের সাবেক নেতারা।
বগুড়া পৌরসভার ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি সিপার আল বখতিয়ার ইবার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঈদ উপলক্ষে শহর বিএনপি থেকে এই ওয়ার্ডে কোনো ঈদ সামগ্রী দেওয়া হয়নি। তবে এপ্রিল মাসে করোনার প্রাদুর্ভাবে কর্মহীনদের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যের বরাদ্দ থেকে ৫০ প্যাকেট খাদ্য সামগ্রী বিএনপি নেতা এম আর ইসলাম স্বাধীনের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছিল।।
তৃণমূল নেতা-কর্মীদের অভিযোগ অস্বীকার করে বগুড়া শহর বিএনপির আহবায়ক মাহবুবর রহমান বকুল ইবার্তা২৪.কম-কে বলেন, ঈদ উপলক্ষে শহর বিএনপি থেকে চার হাজার প্যাকেট ঈদ উপহার সামগ্রী বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিতরণ করা হয়েছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি