বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘খানার আয়-ব্যয় জরিপ ২০২২’-এর তথ্যমতে দেশের মানুষের মাছ, মাংস, দুধ, ফল ও শাক-সবজি খাওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। তবে ভাত খাওয়ার পরিমাণ কমেছে।
অর্থাৎ আমাদের নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত তাঁদের খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিকর এবং শক্তিদায়ক খাবারের পরিমাণ বাড়িয়েছেন আগের তুলনায়। খেয়াল করে দেখবেন দেশে শ্রমিক শ্রেণী কমে গিয়েছে, ঘরের জন্য বান্ধা কাজের লোক আর পাওয়া যায়না আগের মতো। মানুষ এখন ৩ বেলা ভাত খায়না ঠিকই, তবে এদের বেশিরভাগই বাকি দুইবেলা রেস্টুরেন্টে নানা রকমের বিদেশী খাবার খাচ্ছে। অথবা স্ট্রিট ফুড খাচ্ছে। রাতে হয়তো ভাতের বদলে ফল খাচ্ছে, ২৫ টাকা দিয়ে মালাই চা খাচ্ছে, নিজের মতো করে পাস্তা-নুডলস বানিয়ে খাচ্ছে, পুষ্টিকর সালাদ খাচ্ছে।
খাদ্যের এমন প্রাচুর্যতা ও স্বাধীনতা আছে বলেই দেশের মানুষের গড় আয়ুও বেড়েছে। একসময়কার ক্ষুধা-মন্দা আর দারিদ্র্যের বাংলাদেশে গত ১৪ বছরে মাছ-মাংসের স্বাধীনতা শেখ হাসিনাই দিয়েছেন। আপনি স্বীকার না করলেও সত্য বদলাবে না, আড়াল করেও রাখা যাবেনা।
লেখক : হামজা রহমান (অন্তর) – কলামিস্ট ও ছাত্রনেতা