গ্রেফতারের কিছুক্ষণ পর মুক্তি পেয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মুক্তি পেয়ে তিনি আদালত প্রাঙ্গণ ছেড়ে গেছেন। এর আগে সাবেক পর্নো তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে অবৈধ সম্পর্কের ব্যাপারে মুখ বন্ধ রাখার জন্য ঘুস দেওয়ার মামলায় গ্রেফতার হন ট্রাম্প।
তারও আগে আদালতে হাজির হয়ে আত্মসমর্পণ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। একপর্যায়ে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তখন আইনি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, শুনানির পর এ মামলায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামিন হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। শেষ পর্যন্ত তিনি জামিন পেয়েছেন।
ম্যানহাটনের একটি আদালতে যখন প্রবেশ করেন তখন ট্রাম্পকে একেবারেই অন্য রকম মনে হয়েছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়েও বেশি চুপচাপ আর শান্ত থাকতে দেখা গেছে তাকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের সঙ্গে আদালতে প্রবেশ করেন। এ সময় তিনি নীল স্যুট এবং লাল টাই পরা ছিলেন। তিনি প্রবেশ করতেই আদালতে গুঞ্জন শুরু হয়।
সে সময় তাকে বেশ বিষন্ন দেখা গেছে এবং ধীর পদক্ষেপে হাটতে দেখা গেছে। ট্রাম্প চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের কথার কোনও জবাব দেননি। এমনকি তিনি আদালত ছাড়ার সময়ও নীরবতা বিরাজ করছিল। তবে ফ্লোরিডায় ফিরে তিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
জানা গেছে, সাবেক পর্নো তারকার মামলায় আসামি হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন ইতিহাস গড়েছেন ট্রাম্প। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো সাবেক বা বর্তমান প্রেসিডেন্ট ফৌজদারি মামলার আসামি হলেন।
স্টর্মিকে ‘হাশ মানি’ দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছিল ম্যানহাটানের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি অ্যালভিন ব্র্যাগের কার্যালয়। স্টর্মির অভিযোগ, যৌন সম্পর্কের পর মুখ বন্ধ রাখার জন্য তাকে ঘুস দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট বরাবরই তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি এই মামলাকে ‘রাজনৈতিক নিপীড়ন’ বলে অভিহিত করেছেন এবং অ্যাটর্নি ব্র্যাগকে ‘কলঙ্ক’ বলে আক্রমণ করেছেন। ট্রাম্প ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, এই সিদ্ধান্ত ২০২৪ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদেরই ক্ষতি করবে।