1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাগেরহাটে পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষে সাফল্য

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৩

বাগেরহাটের ফকিরহাটে পতিত জমিতে সূর্যমুখী চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন চাষিরা। এতে একদিকে যেমন আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে পতিত অনাবাদি জমি কাজে লাগিয়ে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। আর কোলেস্টেরল মুক্ত তেল উৎপাদন করে ক্ষতিকর পামওয়েল ও সয়াবিনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে রক্ষা পাবেন ভোক্তারা। কৃষিবিভাগ বলছে, সূর্যমুখীর ফলন দেখে তেলজাতীয় ফসল উৎপাদনে কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

ফকিরহাট উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ফকিরহাট উপজেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে সুর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি প্রণোদনায় ১ হাজার ৩০ জন চাষি সূর্যমুখীর চাষ করেছেন ১৩৭ হেক্টর জমিতে। এসব জমিতে বাম্পার ফলনও হয়েছে। পতিত জমিতে সূর্যমুখীর এমন বাম্পার ফলন দেখে ও কম পুঁজি বিনিয়োগে বেশি লাভবান হওয়ায় সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এ এলাকার চাষিরা।

লখপুর এলাকার সূর্যমুখী চাষি মোতালেব মোড়ল বলেন, ‘সরকারি প্রণোদনার মাধ্যমে বীজ ও সার পেয়ে এ বছর প্রথম সূর্যমুখীর চাষ করেছি। প্রথমে তেমন আগ্রহ না থাকলেও ফলন দেখে অনেক ভালো লাগছে। প্রতিটি গাছে অনেক বড় বড় ফুল হয়েছে। ফুলের এই মনোরম দৃশ্য দেখতে ও ছবি তুলতে প্রতিদিন ভিড় করছে প্রকৃতিপ্রেমিরা। যদি আবহাওয়া ও বাজার ভালো থাকে অনেক টাকা লাভ হবে। আমার মতো আরও কৃষক সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়েছেন। ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে সূর্যমুখীর চাষ করবো।’

কৃষক শফিকুল গাজি বলেন, ‘ধান ওঠার পর অনাবাদি পড়ে থাকা জমিতে এ বছর সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সূর্যমুখীর তেলের গুণাগুণ শুনে ও ফলন দেখে আমিও আগামী বছর সূর্যমুখী চাষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাছরুল মিল্লাত বলেন, ‘তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সরকারের প্রণোদনা ও কৃষিবিভাগের নজরদারিতে পতিত জমিতে সুর্যমুখীর বাম্পার ফলন হয়েছে। সূর্যমুখীর বীজ থেকে উৎপাদিত তেলে লিনোলিক এসিড থাকে যা হার্টের জন্য ভালো। সূর্যমুখী তেলের উৎপাদন বাড়লে মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত তেল পাবে, চাষিরাও লাভবান হবেন। কম খরচে বেশি লাভের সুযোগ থাকায় ফকিরহাটের আরও অনেকেই সূর্যমুখী চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।’

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহন কুমার ঘোষ বলেন, ‘সরকার ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে তেল জাতীয় ফসলের চাষাবাদ বাড়াতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে বীজ ও সার এবং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এ বছর ফকিরহাটে সূর্যমুখীর বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রতিটি গাছে ফুল ফোটার পর বাগানগুলো অপরূপ সৌন্দর্য ধারণ করেছে।’


সর্বশেষ - রাজনীতি