1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ঈদ ও মানুষের যাপিত জীবন

ড. মাহবুব উল্লাহ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২২

পবিত্র ঈদুলফিতর অত্যাসন্ন। বাংলাদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীর জন্য ঈদুলফিতরের উৎসবটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ৩০ দিন সিয়াম সাধনার পর ঈদুলফিতরের দিনটি প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আনন্দের সংবাদ নিয়ে আসে।

এই ঈদ শিশু-কিশোর, যুবক-যুবতি, প্রৌঢ় এবং বৃদ্ধ-সবার জন্য আসে খুশির বারতা নিয়ে। সব মুসলিম পরিবার নিজ নিজ সাধ্যের মধ্যে ঈদে ভালো খাবারদাবারের আয়োজন করে। এই খাবার শুধু একটি পরিবারের সদস্যরা গ্রহণ করে না, নিজের আনন্দ পাড়া-পড়শি এবং আত্মীয়দের সঙ্গে ভাগ করে খাওয়ার আনন্দকে আরও বহুগুণ বৃদ্ধি করে।

ঈদের দিন সকালে নতুন কাপড় পরে অথবা পুরোনো কাপড়কে ধুয়ে পরিচ্ছন্ন করে মসজিদে কিংবা ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করে অনির্বচনীয় আনন্দের স্বাদ গ্রহণ করে মুসলিম জনগোষ্ঠী। শিশুরা আবদার জুড়ে দেয় ঈদের জামাতে শরিক হওয়ার জন্য। শিশুর অভিভাবকরাও শিশুদের নিয়ে নামাজ আদায় করার জন্য চলে যায় মসজিদ কিংবা ঈদগাহে।

এসব ছোট শিশুর ঈদ জামায়াত এবং আনুষঙ্গিক উৎসবচর্চা কেন করতে হয়, সে সম্পর্কে তেমন কোনো উপলব্ধি থাকে না। তবে তারা বুঝতে পারে ঈদের দিনটি বছরের অন্যান্য দিনগুলোর তুলনায় অনেক বেশি পবিত্র ও আনন্দমণ্ডিত। ঈদের দিনটিতে অমুসলিম পাড়া-পড়শিরা মুসলিম প্রতিবেশীদের আনন্দ আয়োজনে অংশগ্রহণ করতে দ্বিধাবোধ করে না। এভাবে ঈদুলফিতরের দিনটি ধনী-গরিব, হিন্দু-মুসলমান সবার এক সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়।

কয়েক দশক ধরে ঈদকেন্দ্রিক উৎসবকে ঘিরে উদ্যোগ, বিনিয়োগ এবং বাজারজাতকরণের অর্থনীতি ক্রমান্বয়ে বিশাল আকার ধারণ করেছে। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের ঈদের বাজারে ভারতীয় পোশাক-আশাক এবং শাড়ির ভয়ানক দাপট ছিল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে বেশ কিছু পোশাকের ব্র্যান্ডের আবির্ভাব ঘটেছে।

নন্দনতাত্ত্বিক দিক থেকে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা পাঞ্জাবি-পায়জামা, শার্ট ও শাড়ি প্রতিটিতেই রুচির বৈচিত্র্য এনেছে। আরামদায়ক ও রুচিসম্মত হওয়ার ফলে সাফল্যজনকভাবে ঈদের বাজারে বিদেশি ব্র্যান্ডকে সংকুচিত করতে বাংলাদেশি উদ্যোক্তারা সফল হয়েছেন। এখন বাজারে ব্র্যান্ড পোশাকের ৭০ ভাগ বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে।

এই সাফল্যে বাংলাদেশের জনগণ গর্ববোধ করতে পারে। ১৫ রমজান থেকে মানুষ কেনাকাটা শুরু করে। কেনাকাটার এই হিড়িক চাঁদরাত পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। শুধু পোশাক-আশাকই নয়, ঈদসংশ্লিষ্ট বেশকিছু পণ্যেরও বাজার রমরমা হয়ে পড়ে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পাদুকা, সুগন্ধি, টুপিসহ অনেক ধরনের পণ্য।

ঈদুলফিতরের সময় রাজধানী ঢাকা থেকে লোকজন তাদের পৈতৃক আবাসে ছুটে যায়। অনুমান করা হয়-ঈদকে কেন্দ্র করে ৫০ লাখ নারী-পুরুষ ঢাকা ছেড়ে তাদের পৈতৃক নিবাসে ছুটে যায়। হঠাৎ যানবাহনের ওপর চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে আপন আপন পৈতৃক নিবাসে যাওয়াটা হয়ে ওঠে প্রচণ্ড ঝক্কিঝামেলার।

এ সত্ত্বেও যাত্রীদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তারা কেমন অনুভব করছেন, তখন জবাব আসে-খুশি লাগছে নিজের নাড়িপোতা আবাসে যেতে পারছি। গ্রামে পিতামাতা আছেন তাদের সান্নিধ্যে যেতে পারাটাই অতুলনীয় আনন্দের ব্যাপার। শিশুরাও একই ভাষায় তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে।

ঈদের সময় ঘরমুখী মানুষ খুব কষ্ট করেই যাতায়াত করেন। ঈদযাত্রা শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত নয়। দেশের পরিবহণব্যবস্থা এখনো অনেকটাই মান্ধাতার আমলের মতো রয়ে গেছে। এ কারণে দুঃখজনক দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবছর ঈদ এলে ঈদসম্পর্কিত যাতায়াতের অনিয়ম, দুর্নীতি প্রভৃতি সমস্যা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়। কিন্তু উৎসবটি শেষ হওয়ার পর এসব নিয়ে তেমন কোনো কথাবার্তা আর হয় না।

এদেশের জনগণ, বলা যায় অনেকটাই সর্বংসহা। এ কারণে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি পরিবর্তনের জন্য অর্থবহ দাবিদাওয়াও পেশ করা হয় না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পার করে আমরা আমাদের জনগণের মধ্যে বিপরীতমুখী তীব্র প্রবণতা লক্ষ করি। এই প্রবণতা দুটি হলো, একদিকে অতি সামান্য সম্পদকে ভিত্তি করে বস্তুগতভাবে জীবনযাত্রাকে অর্থবহ করে তোলার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা এবং অন্যদিকে ক্রমপুঞ্জীভূত দুর্নীতি, দুঃশাসন, অন্যায় ও অনিয়মকে নিয়তি বলে মনে করা।

এখনো বাংলাদেশের মানুষ প্রকৃষ্ট নাগরিক হিসাবে গড়ে ওঠেনি। এখনো মনে করে তারা প্রজাই থেকে গেছে। ১৯৪৭-এ পাকিস্তান সৃষ্টি হওয়ার পর ১৯৫০ সালে ইস্ট বেঙ্গল স্টেট অ্যাকুইজিশন অ্যান্ড টেনেন্সি অ্যাক্ট পাশ হওয়ার পর জমিদাররা পূর্ববঙ্গ ত্যাগ করে। তাদের শূন্যস্থান পূরণ করে জোতদার নামক ভূমি মালিকরা।

এখন বাংলাদেশে রাজত্ব করছে নানা কিসিমের জমিদার। এই সাদা হাতির কালো মাহুতরা সাধারণ মানুষের অস্থিমজ্জা শোষণ করে চলেছে। এই গোষ্ঠীটি চরিত্রগতভাবে সুযোগসন্ধানী। বাংলাদেশে মানুষের মধ্যে একটি ভিন্ন প্রজাতির উদ্ভব ঘটেছে। তারা নীতি-নৈতিকতার তোয়াক্কা করে না।

এরা নদী দখল করে, খাল দখল করে, খাসজমি দখল করে, প্রকৃত জমিদার মালিককে নানারকম কৌশলে তাদের জমিটি পানির দামে বিক্রয় করতে বাধ্য করে, সরকারি চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে ৫-১০ লাখ টাকার চাঁদা আদায় করে, বিদেশে চাকরিপ্রার্থীদের ধোঁকা দিয়ে বিদেশযাত্রার নামে নিদারুণভাবে প্রতারিত করে, পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করে এগুলো বিক্রয় করে, খাদ্যে ভেজাল দেয়, বড় অঙ্কের লাভের কথা বলে বিশ্বাসপ্রবণ মানুষকে প্রতারিত করে, গ্রাম থেকে ঢাকাগামী পণ্যসামগ্রীর ট্রাক থেকে চাঁদা আদায় করে।

এই অনিয়ম, দুঃশাসন ও দুর্বৃত্তায়ন যতদিন চলতে থাকবে, ততদিন এসব অন্ধকারের জীবরা দেশের উন্নতি ও অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে থাকবে। সাধারণ মানুষ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করতে পিছপা হবে না। বেশ কিছুদিন ধরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে মিডিয়ায় বেশ কথাবার্তা হচ্ছে।

আমরা অনেক সময় অভিযোগ করি যে যশোর কিংবা বগুড়ার গ্রামের কৃষক প্রতি কেজি সবজি ১০-২০ টাকায় বিক্রয় করে, সেই সবজি ঢাকায় সাধারণ ভোক্তারা কেজিপ্রতি ৫০-৬০ টাকায় এমনকি এরও চেয়ে বেশি দামে কিনতে বাধ্য হয়। দেখা যায়, ঢাকার বিভিন্ন বাজারে সবজির দাম ভিন্ন হয়। এর ব্যাখ্যা নোবেলবিজয়ী অর্থনীতিবিদরা করতে পারবেন বলে মনে হয় না।

২৬ এপ্রিলের প্রথম আলো মহাসড়কে চাঁদাবাজির ওপর একটি স্টোরি করেছে। এই স্টোরির শিরোনাম: ‘সবজির ট্রাকে এখন ডিজিটাল চাঁদাবাজি’। প্রথম আলোর সংবাদকর্মী বগুড়া থেকে এই স্টোরিটি করেছেন। এই স্টোরিতে বলা হয়েছে, ‘মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ হচ্ছে না। একসময় পথে পথে ট্রাক থামিয়ে চাঁদা নেওয়া হতো। মাঝে টোকেন বা কার্ড দিয়ে পুরো মাসের চাঁদা নেওয়া হতো।

আর এখন সড়ক-মহাসড়কে চাঁদাবাজি হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে মাসিক চুক্তির টাকা পরিশোধ করছেন ট্রাক মালিকরা। পুলিশ ট্রাক আটকানোর পর মোবাইল ফোন নম্বরে কল করলেই ট্রাক ছেড়ে দেওয়া হয়। পণ্যবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি দেখতে প্রথম আলোর এই প্রতিবেদক রোববার ১০ টনের একটি সবজির ট্রাকে চড়ে বসেন।

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার মহাস্থান হাটের সবজির মোকাম থেকে ১৩ টন শসা, মুলা, বরবটি, পটোল ও করলা নিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয় ট্রাকটি। ২২০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে পুরান ঢাকার শ্যামবাজারে এসে থামে রোববার রাত আড়াইটায়। সাভারের আগ পর্যন্ত কোনো চাঁদাবাজি দেখা যায়নি।

সাভার থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত একাধিক স্থানে রসিদ দিয়ে চাঁদা তুলতে দেখা গেছে। এর আগে ৫ এপ্রিল প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক রাজশাহী থেকে সবজির ট্রাকে চড়ে ঢাকায় এসেছিলেন। তিনিও সড়কে চাঁদাবাজির প্রায় একই চিত্র পেয়েছিলেন।

একই দিন প্রথম আলো জানিয়েছে, যশোর থেকে ঢাকা সবজির ট্রাকে বাড়তি ৯২০ টাকা দিতে হয়। যশোরের বারিনগর পাইকারি মোকাম থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে সবজি পাঠানো হয়। এই মোকামের সবজি খুচরা পর্যায়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে ভোক্তাকে কিনতে হয়। সবজির দাম কেন এত বাড়ে, তা দেখার জন্য রোববার বারিনগর মোকাম থেকে ৬ ধরনের সবজিবোঝাই পাঁচ টনের একটি ট্রাকে বসেন প্রথম আলোর প্রতিনিধি। ১৯ হাজার টাকা ভাড়া ঠিক করার পর ঢাকার কাওরান বাজার ও যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারের উদ্দেশে বেলা ১টায় রওয়ানা দেয় ট্রাকটি।

ঝিনাইদহ হয়ে মাগুরার ভেতর দিয়ে ট্রাক এগিয়ে চলল। ট্রাকটি গড়াই নদের ওপরে নির্মিত লোহার সেতু যখন পার হয়, তখন বেলা আড়াইটা। সবজির ট্রাক কুমারখালী সেতুর মাগুরা প্রান্তে পৌঁছালে পার হতে ১৭০ টাকা দিতে হয়। ছোট ওই সেতুটি পার হতে টোলের পরিমাণ ১০০ টাকার বেশি হওয়া উচিত না বলে খেদোক্তি করলেন ট্রাকের চালক।

এর আগে ৫ এপ্রিল এই প্রতিনিধি একইভাবে যশোর থেকে সবজির ট্রাকে চড়ে ঢাকায় এসেছিলেন। এ সময় পথে বিভিন্ন স্থানে দৃশ্যমান ও ‘অদৃশ্য’ চাঁদাবাজি দেখেছেন তিনি। এবার তিনি ফেরিঘাটসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ট্রাকচালককে মোট ৯২০ টাকা চাঁদা দিতে দেখেছেন।

বাংলাদেশের জনগণের জন্য ঈদ উৎসব অনেক আনন্দদায়ক এবং স্ফূর্তির বিষয় হতো, যদি জনগণকে দস্যু, দখলদার ও চাঁদাবাজদের কবলে না পড়তে হতো। একটি গোষ্ঠী ক্ষমতার বলেই হোক অথবা পেশিশক্তির বলেই হোক, বেআইনি আয় করতে উদ্যত, তাদের রুখে দাঁড়ানোর সময় এখনই। এখন থেকে এসব অন্যায়কারী এবং নব্য জমিদারের ভূমিকায় থাকা সামাজিক শত্রুদের রুখে দিতে না পারলে জাতি হিসাবে আমরা মহাসংকটে পড়ে যাব।

আমরা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার লড়াই দিয়ে বারাসাতের জমিদারদের শোষণ ও অত্যাচার রুখে দেওয়ার প্রয়াস সম্পর্কে জানি। তিতুমীর তার এই লড়াইতে সফল হননি। তাকে শাহাদতবরণ করতে হয়েছিল। ইংরেজ শাসকরা জমিদারকে রক্ষা করার জন্য ইংরেজ সেনাপতির নেতৃত্বে সৈন্য পাঠিয়েছিল। তাদের গোলাবর্ষণে বাঁশের কেল্লা বিধ্বস্ত হয়ে যায়, কিন্তু নিপীড়িতের স্পিরিটকে ধ্বংস করা যায়নি।

বারাসাতের জমিদার জমির খাজনার বাইরে ১৯ ধরনের আবওয়াব আদায় করত। ফলের মৌসুমে প্রজারা জমিদারের জন্য ফলফলাদি দিতে বাধ্য থাকত। জমিদারের জামাই-শ্বশুর বাড়ি এলে এই অজুহাতে প্রজাদের কাছ থেকে আবওয়াব আদায় করা হতো। বারাসাতের জমিদার একসময় ঘোষণা করল, যেসব প্রজা দাড়ি রাখবে তাদের দাড়ির জন্য কর দিতে হবে। প্রজাদের মধ্যে মুসলমান প্রজারাই বেশি সংখ্যায় দাড়ি রাখত, যেটাকে তারা সুন্নত পালন হিসাবে গণ্য করত।

দাড়ি-কর প্রজাদের বিদ্রোহী করে তোলে। সেই বিদ্রোহে নিসার আলী তিতুমীর সম্মুখে অবস্থান করে নেতৃত্ব দেন। ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের কৃষকরা বহু আন্দোলন-সংগ্রাম করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব সংগ্রাম সশস্ত্র যুদ্ধে রূপ নিত। একালেও দেশের সাধারণ মানুষ অনেক ক্ষেত্রেই নাগরিকের মর্যাদা পায় না। আপাতদৃষ্টিতে এদেশের নিুবর্গের মানুষ নীরবে সব অন্যায়-অনাচার সহ্য করলেও চিরকাল সহ্য করবে-এমনটি ভাবা সঠিক নয়।

লেখকঃ ড. মাহবুব উল্লাহ – শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ।


সর্বশেষ - রাজনীতি