1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বঙ্গবন্ধু জাতের ধানে বাম্পার ফলন

দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি  : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ২০ এপ্রিল, ২০২২

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু জাতের ধান চাষ হয়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে। প্রথম বছরেই চাষাবাদ করে সাফল্য দেখছেন বিরল উপজেলার কৃষক মতিউর রহমান। এবছর ৫০ একর জমিতে এই ধান চাষাবাদ করেছেন তিনি।

আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই কাটা-মাড়াই করে ঘরে ধান তোলা যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা। উৎপাদিত ধান মতিউরের কাছ থেকে নিয়ে বীজ হিসেবে ব্যবহার করে জাতটি দ্রুত সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি)।

কৃষক মতিউর রহমানের বিরল উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বড়বৈদ্যনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার জমিতে গিয়ে দেখা যায়, ধানগাছগুলো বাতাসে দুলছে। পাতার ফাঁকে সগৌরবে উকি দিচ্ছে শীষগুলো।

কৃষক মতিউর রহমান জানান, প্রতিবছর একই জমিতে একই জাতের ধান আবাদ করায় বিভিন্ন গবেষণা থেকে দেখা যায়- ওই ধানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে। তাই ওই ক্ষেতে রোগবালাইয়ের আক্রমণ বেড়ে যায়। আর প্রতিবছর নতুন নতুন জাতের ধান আবাদ করলে রোগবালাই থেকে অনেকটা রক্ষা পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে ধান বীজ বপন ও চারা রোপণ এবং উৎপাদন কাজ হওয়ায় বঙ্গবন্ধু (ব্রি ধান ১০০) জাতের ধান এ অঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হবে। কেননা এ অঞ্চলে শীত বেশি হওয়ার কারণে অন্যান্য জাতের ধান বীজ বপনের পর ঘন কুয়াশায় অনেক চারা নষ্ট হওয়ার আশংকা থাকে, আর নতুন এই জাতের বীজ বপনের পর অল্প কিছুদিনের মধ্যেই রোপণ করতে পারায় একেবারে চারা নষ্ট হয় না বললেই চলে।

মতিউর রহমান আরও বলেন, এছাড়া ব্রি-২৯ সহ অন্য জাতের ধান উৎপাদনে মৌসুমে প্রায় পাঁচবার কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়, আর নতুন এ জাতের জন্য তিনবার কীটনাশক প্রয়োগ করলেই হয়। অন্যান্য জাতের তুলনায় সার প্রয়োগ করতে হচ্ছে অনেক কম। আর অন্য জাতের তুলনায় দু’এক সপ্তাহ আগেই ধান ঘরে তুলতে পারায় ঝড়-বৃষ্টির কবলে পড়ে ফসল নষ্টের সম্ভাবনা কম।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) দিনাজপুর কন্ট্রাক গ্রোয়ার্সের উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু (ব্রি ধান ১০০) ধানের ফ্লাগ লিড ভালো থাকায় ফলন ভালো হয়। অন্য ধানে ফ্লাগ লিড কম থাকায় চিটা বেশি হয়। ১৪৫ থেকে ১৪৮ দিনের মধ্যে হেক্টর প্রতি ৭.৮ মেট্রিক টন এই ধান উৎপাদন সম্ভব। অন্যান্য ধানে যা প্রায় ১৬০ দিন লাগে।

তিনি আরও বলেন, ধান গবেষণা কেন্দ্র- ফেনী থেকে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উদ্ভাবিত বঙ্গবন্ধু (ব্রি ধান ১০০) জাতের ৫০০ কেজি ধানবীজ সংগ্রহ করে দিনাজপুরের মধ্যে বৃহৎ পরিসরে ৫০ একর জমিতে বিরলের কৃষক মতিউর রহমান চাষাবাদ শুরু করছেন। বিএডিসির কর্মকর্তারা এবং আমি নিজেই মাঠ পর্যায়ে ধানক্ষেত পরিচর্যায় সার্বিক পরামর্শ ও সহযোগিতা করে আসছি। কৃষক মতিউর রহমান আশানুরূপ ফলন পাবেন বলে আশা করছি।


সর্বশেষ - রাজনীতি