1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

পদ্মায় ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণ প্রকল্প পরিদর্শনে সেনাপ্রধান

প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২২

ঢাকার দোহারের মাঝিরচর থেকে নারিশা বাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প বাস্তবায়নের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) সেনাবাহিনী প্রধান এ প্রকল্প পরিদর্শন করেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধান প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন। পরিদর্শনের সময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি এবং সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এই প্রকল্পের কাজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনস্থ ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে রূপকল্প-২০৪১ অনুযায়ী শিল্পায়নকে অগ্রাধিকার দিয়েছে বর্তমান সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার দোহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলে শিল্পায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে এই বিপুল সম্ভাবনার পথে হুমকি পদ্মার ভাঙন।

গত ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ সালে একনেকে অনুমোদিত হওয়ার পর এপ্রিল ২০১৯-এ ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পের মূল কাজ দুইটি—দোহারে পদ্মা নদীর বাম তীর ঘেঁষে ৬ কি.মি. বাঁধ প্রতিরক্ষা এবং ১২.২০ কি. মি. ড্রেজিং। এরই মধ্যে ৬ কি.মি. এলাকায় জিওব্যাগ ডাম্পিং ও প্লেসিংয়ের মাধ্যমে দোহার এলাকাকে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৬ কি.মি. স্থায়ী বাঁধ প্রতিরক্ষা কাজের ৩.৪৮ কি.মি. ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং অবিশিষ্ট ২.৫২ কি.মি. স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ চলমান রয়েছে।

এছাড়াও, আইডব্লিউএম’র হাইড্রোলজিক্যাল ও মরফোলজিক্যাল স্টাডির সুপারিশ অনুযায়ী গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২.২০ কি.মি. ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রকল্পের ৫০ শতাংশ ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করা হবে এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ কাজ আগামী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বর্ষা মৌসুমের আগেই সম্পন্ন হবে বলে আশা করা যায়।

এছাড়া আইডব্লিউএম’র প্রতিবেদন অনুযায়ী আওরঙ্গবাদ থেকে শাইনপুকুর পর্যন্ত ১৯.২০ কি.মি. প্রিকশনারি নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজ আরডিপিপিতে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন। আগামী ২০২৪ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দোহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পথ সুগম হবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।


সর্বশেষ - রাজনীতি