1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

মিষ্টি কুমড়া চাষে ২০ গুণ লাভ পাচ্ছে কৃষক

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

জয়পুরহাটে এবার মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন কৃষকরা। বিঘাপ্রতি মাত্র ২৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা খরচ করে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত। এতে খরচ বাদ দিয়েও লাভ থাকছে ২০ গুণেরও বেশি। বাজারে এমন দাম পাওয়ায় অনেকেই এখন মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। কৃষি বিভাগ বলছে, এই ফসল উৎপাদনে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ধান ও আলুর জন্য বিখ্যাত জয়পুরহাট জেলায় এবার ১৫৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। সারা বছর কমবেশি এর চাষ হলেও আলুর মৌসুমে চাষ হয় বেশি। কৃষকরা আলু চাষের কয়েকদিন পর সেই জমিতেই মিষ্টি কুমড়ার বীজ বপন করে। তাই জমিতে আলাদা কোনো চাষ করতে হয় না। আলু তোলার পরপর দুই একবার সার ও সেচ দিলেই ফলন আসতে শুরু করে। জেলার সব উপজেলায় কমবেশি চাষ হলেও এবার সবচেয়ে বেশি এ ফসলের চাষ হয়েছে আক্কেলপুর উপজেলায়।

ইতিমধ্যে মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করে বেশ লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। ব্যবসায়ীরা সরাসরি কৃষকদের জমি থেকে পাইকারি দরে কুমড়া কিনে নিয়ে যাচ্ছে। খুচরা বাজারে ২৫-৪০ টাকা কেজি দরে এ ফসল বিক্রি হলেও কৃষকরা জানিয়েছেন, তারা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন মাত্র ১৩ থেকে ১৫ টাকা দরে। এতেও বিঘাপ্রতি তাদের বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। এতে সব খরচ বাদ দিয়েও ২০ গুণের বেশি লাভ থাকছে তাদের।

পূর্ব মাতাপুর গ্রামের কৃষক আবুল ফজল বলেন, আমার এক বিঘা জমিতে প্রথমে আলুর আবাদ করেছিলাম। আলুর সাথেই কদুর (মিষ্টি কুমড়া) বীজ বপন করেছিলাম। আলু তোলার পর এখন ফলন আসতে শুরু করেছে। এক বিঘাতে ৬০ হাজার টাকা বিক্রি হবে বলে আশা করছি। বিঘাপ্রতি খরচ হয় ২৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর শ্রমিক না খাটালে খরচ আরও অনেক কম হয়।

কৃষক মিলন হোসেন বলেন, এই ফসলে একবার সেচ ও হালকা কিছু সার দিতে হয়। এতে শ্রমিকসহ সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা খরচ হয়। আর কুমড়া বিক্রি হবে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। আমার জমিতে থাইল্যান্ড ও ব্যাংককের মিষ্টি কুমড়া রয়েছে।

জামালগঞ্জের কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, ৮ শতক জমিতে আলুর চাষ করেছিলাম। চাষের এক সপ্তাহ পর সেই জমিতেই কুমড়ার বীজও লাগাই। থাইল্যান্ড, ব্যাংকক, সুইটি ও ওয়ার্ডারবলসহ বিভিন্ন জাতের কুমড়া রয়েছে। ৮ শতক জমিতে খরচ পড়েছে ৮শ’ টাকা। এই জমি থেকে ১৮ হাজার টাকার কুমড়া বিক্রি করেছি। আকারভেদে প্রতিকেজি বিক্রি করেছি ১৩ থেকে ১৫ টাকায়।

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম জানান, জয়পুরহাট জেলায় এবার ১৫৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে অত্যন্ত পুষ্টিকর সবজি মিষ্টি কুমড়া। সারা বছর এই ফসল চাষ হয়। এর মধ্যে দেশি ও বিদেশি বিভিন্ন জাত রয়েছে। বর্তমানে এর বাজারমূল্য ভালো রয়েছে। প্রতি হেক্টরে প্রায় ২০ মেট্রিক টন ফলন পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের সব ধরনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি