করোনা মহামারীর দ্বিতীয় ধাপে রমজানের ১২তম দিন পর্যন্ত ৬ লক্ষাধিক অসহায় মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে যুবলীগ। সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলের নির্দেশে সারাদেশে এই ত্রাণ সহায়তা দেয় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এসব সহায়তার মধ্যে ইফতার ও ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। এছাড়া মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, স্বাস্থ্য সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ, ফ্রি টেলিমেডিসিন সেবাও চালু করা হয়েছে। ধান কেটে কৃষকের ঘরে তুলে দেয়া হয়েছে। গত বছর প্রথম ধাপের করোনা মহামারীতে সারাদেশে প্রায় ৪৪ লাখ মানুষের পাশে সংগঠনটি দাঁড়িয়েছে বলেও বৃহস্পতিবার সংগঠনটির দপ্তর সেল থেকে জানানো হয়।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, করোনার মহাসংকটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগ কর্মহীন, ছিন্নমূল, অসহায় মানুষের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। যুবলীগ এখন একটি মানবিক সংগঠনে পরিণত হয়েছে। এ সংগঠনের নেতাকর্মীরা নিজের জীবন বাজি রেখে অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়েছে।
খাদ্য সহায়তা, ফ্রি চিকিৎসাসেবা থেকে লাশ দাফন করা পর্যন্ত সবার কাজের সঙ্গে যুবলীগ নেতাকর্মীরা সম্পৃক্ত রয়েছে। করোনার প্রথম পর্যায়ে যুবলীগ যেমন প্রায় ৪৪ লাখের বেশি অসহায়, কর্মহীন মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছিল ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় করোনার দ্বিতীয় পর্যায়েও পবিত্র মাহে রমজানের প্রথম ১২ দিনে ও লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে ইতোমধ্যে ৬ লাখের বেশি মানুষকে ইফতার ও ত্রাণ সামগ্রী দিয়েছে। যতদিন এই করোনার মহাসংকট দূর না হবে ততদিন পর্যন্ত যুবলীগের ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, সর্বমহলে যুবলীগ এখন মানবিক যুবলীগ হিসেবে পরিচিত। আমরা বিশ্বাস করি মানুষকে ভালোবাসলেই, মানুষকে সাহায্য করলেই কেবল মাত্র মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায়। দেশের যেকোন সংকটে যুবলীগ সবসময় মানুষের পাশে ছিল, আছে, থাকবে।