প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন ও নানাবিধ আর্থসামাজিক কারণে দেশের কোনো নাগরিক যেন ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত না হয়, সে লক্ষ্যে আমরা ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন, ২০০০’ প্রণয়ন করেছি।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে দেয়া এক বাণীকে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৮ এপ্রিল ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস, ২০২১’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
তিনি বলেন. সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম স্বপ্ন ছিল সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার ও সুবিচার নিশ্চিত করা। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকার এবং সব নাগরিকের আইনের আশ্রয় পাওয়ার সমানাধিকার নিশ্চিত করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার পর দেশে আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়। ‘৭৫ পরবর্তী বিএনপি-জামাত জোট সরকার হত্যা, ক্যু, নির্যাতন ও নিপীড়নের রাজত্ব কায়েম করে। সুবিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়। দেশের জনগণ আইনগত সহায়তা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়।
তিনি বলেন, অসহায়, দরিদ্র ও নিঃস্ব জনগণকে বিনা খরচে সরকারি আইনগত সহায়তা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। জেলা লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ ‘বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি’র কেন্দ্রস্থল হিসেবে মামলার পক্ষসমূহের মধ্যে আপস-মীমাংসার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করছে, যা সারাদেশের আদালতসমূহে মামলাজট হ্রাস করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের এই কঠিন সময়েও সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রম সফলতার সঙ্গে চলমান রয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যম প্রয়োগ করে বিচারপ্রার্থী জনগণকে আইনি পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ পরিণত করতে চাই। এজন্য সমাজে প্রতিটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করতে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সকল ধরনের ভয়ভীতি ও বৈষম্য দূর করে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির অন্যতম লক্ষ্য ‘ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার’ বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।