1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ইলিয়াস আলী গুম নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস : মির্জা আব্বাস কি বহিষ্কার হচ্ছেন?

নাজিম আজাদ : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২১

গত ১৭ এপ্রিল দুপুরে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় মির্জা আব্বাস দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার বিষয়ে নতুন তত্ত্ব দেন। ৯ বছর আগে ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হয়েছিলেন ইলিয়াস আলী।
ঢাকাস্থ সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী সংহতি সম্মেলনীর উদ্যোগে আয়োজিত ওই সভায় মির্জা আব্বাস বলেন, ‘ইলিয়াস আলী ‘গুমে’র নেপথ্যে সরকার নয়, বিএনপির লোকই রয়েছে।’
এ নিয়ে বিএনপি তথা রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দলীয় হাইকমান্ডের চাপের মুখে পড়েন আব্বাস। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৮ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির এই নেতা তার ‘বক্তব্য বিকৃত’ করার দায় চাপান গণমাধ্যমের ওপর।

দলীয় সূত্র জানায়, ওই সংবাদ সম্মেলনে মির্জা আব্বাসের দেয়া বক্তব্য ভালো লাগেনি বিএনপির হাইকমান্ডের। বরং তার প্রতি আরও ক্ষুব্ধ হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্ব। কারণ হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে মির্জা আব্বাসকে একটি লিখিত দেয়া হয়েছিল, বলা হয়েছিল সংবাদ সম্মেলনে তিনি শুধু ওই চিঠি পাঠ করবেন। কিন্তু সেটা না করে তিনি তার ‘মনমতো’ বক্তব্য দিয়েছেন।
এ কারণে ইলিয়াস আলীর ‘নিখোঁজ’ হওয়ার বিষয়ে দেয়া তার বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে গত ২২ এপ্রিল আব্বাসকে নোটিশ পাঠায় বিএনপি। যদিও এ ধরনের কোনো নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি আব্বাস অস্বীকার করে চলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যদি এ ধরনের চিঠি দেয়া হয়ে থাকে তবে সেটা দুর্ভাগ্যজনক।’ তাছাড়া আব্বাস নিজের বক্তব্য থেকে ‘ইউটার্ন’ করবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
Elius.jpgএম ইলিয়াস আলী, ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল ঢাকার বনানী থেকে গাড়িচালক আনসার আলীসহ নিখোঁজ হন 
এ বিষয়ে বিএনপির সর্বমহলে নানা আলোচনা চললেও কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না।
একাধিক সূত্র বলছে, কোন্দলের ধারাবাহিকতায় বিএনপির একটি অংশ মির্জা আব্বাসকে নিষ্ক্রিয় করে রাখতে চায়। তারা এখন আব্বাসের ‘বেফাঁস’ বক্তব্যের সুযোগ নিচ্ছে। যদিও ইলিয়াস আলী ইস্যুতে আব্বাস যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা দলের নীতির পরিপন্থী। তবে বিষয়টি নিয়ে আব্বাসের বিরোধীপক্ষ যেভাবে তাকে ‘শিক্ষা দেয়ার’ মিশনে নেমেছে, তাতে একসময়ের এই প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে দলটির সম্পর্কও ছিন্ন হয়ে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হতে পারে। আর তা যদি হয়, তাতে ব্যক্তি মির্জা আব্বাস যেমন কিছুটা বেকায়দায় পড়বেন, তেমনি বর্তমান পরিস্থিতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিএনপিও।
বিএনপিপন্থী রাজনীতি-বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইলিয়াস আলী ইস্যুতে ‘বেফাঁস’ বক্তব্য দেয়ার পর মির্জা আব্বাসকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন না করিয়ে এই ইস্যুতে হাইকমান্ড সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিতে পারতো, তাতে অনেক বিতর্কই এড়ানো যেতো। তাছাড়া, মির্জা আব্বাসকে দলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের জন্য যে চিঠি দেয়া হয়েছে, সে ব্যাপারেও কঠোর গোপনীয়তা রক্ষা করা উচিত ছিল।
 
এক্ষেত্রে ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ও চৌধুরী তানবীর আহমেদ সিদ্দিকীর মতো নেতাদের সঙ্গে বিএনপির বিচ্ছেদের কথা তুলে ধরে ওই নেতারা বলছেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই বদরুদ্দোজা ও তানবীর সিদ্দিকীরা বিএনপি ত্যাগ করেছেন, তাতে রাজনৈতিকভাবে তারা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, বিএনপিও কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।
এদিকে আব্বাসকে বিএনপির তরফ থেকে গত ২২ এপ্রিল যে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, তার জবাব দেয়ার শেষ দিন গত শনিবার (২৪ এপ্রিল)। এদিনই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক। অনেকেই আশংকা করছেন, সত্য বলায় দল থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে মির্জা আব্বাসকে।


সর্বশেষ - রাজনীতি

নির্বাচিত