হেফাজত সংক্রান্ত নতুন অনেক তথ্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সামনে চলে আসছে। মামুনুল হকের মামলার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে পরামর্শ করেই কর্মসূচি দিতো হেফাজত। তাণ্ডব চালাতে ফান্ড আসে পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে। আর আফগান ফেরত জঙ্গিদের সাথে মামুনুলের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিলো বলেও তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা।
গ্রেফতারের পরদিন সোমবার হেফাজত নেতা মামুনুল হককে ৭ দিনের রিমান্ডে নেয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে নতুন অনেক তথ্য। মামুনুলের ব্যক্তিগত জীবন নানা অসঙ্গতিতে ভরা। বিয়ে করেছেন তিনটি। আর তিন বিয়ের মধ্যে একটির কাবিন করেছেন, বাকি দুটির কাবিননামা নেই।
তবে হেফাজত ও মামুনুলের মামলা তদন্তে ৭টি অভিযোগকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে দালিলিক অনেক প্রমাণও পুলিশের হাতে এসেছে।
পুলিশের হাতে আসা নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে নাশকতা চালানোর পরিকল্পনা হয় নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের এক মাস আগেই। মন্দির, আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও সরকারি অফিস-আদালতে অগ্নিসংযোগের নির্দেশ দেয়া হয়। আর নাশকতা চালাতে টাকা আসে পাকিস্তান ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে কতিপয় প্রবাসী সরকারবিরোধী সভা-সমাবেশ ও আন্দোলনের জন্য টাকা পাঠায়।
২০১৩ সালে শাপলা চত্ত্বরে হেফাজতের তা-বের আগে ও পরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সাথে যোগাযোগ রাখতেন জুনায়েদ বাবুনগরী। খালেদা জিয়া অসুস্থ হওয়ার পর সাজা মাথায় নিয়ে লন্ডনে থাকা তারেক রহমানের সাথে যোগাযোগ স্থাপন হয় বাবু নগরী-মামুনুলদের। তার পর থেকে তারেকই ঠিক করে দিতো হেফাজতের কর্মসূচি।
হেফাজত-বিএনপি যোগাযোগ, ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরে হেফাজতি তাণ্ডবের মামলায় খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে কিনা সে বিষয়ে খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা।