1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

‘শিশু’ বক্তার ফোনে বিপুল পর্নো ভিডিওর মজুদ, বিয়ে নিয়েও ধোয়াশা

সুভাষ হিকমত : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১

‘শিশু’ বক্তা হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মাদানীকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে তার নানা ঘটনা। বক্তা হিসেবে আলোচিত এই ব্যক্তির ব্যক্তিজীবনও বেশ আলোচিত। তার মোবাইল ফোনে মিলেছে বেশ কিছু পর্নো ভিডিও; রয়েছে বিয়ে নিয়েও অস্পষ্টতা।
বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয় ২৬ বছর বয়সী রফিকুল মাদানীকে, এরপর বিকেলে তার বিরুদ্ধে গাজীপুরের গাছা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আনে মামলা হয়। হেফাজতে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে র‌্যাব, তার মোবাইল ফোনও তল্লাশি করা হয়।
 
র‌্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, রফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তার ফোনে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু পর্নো ভিডিও পাওয়া গেছে। আসমা বেগম নামের এক নারীকে তিনি বিয়ে করেছেন বলে যে দাবি করেছেন তা নিয়েও নানা তথ্য পাওয়া গেছে। ওই নারীর সঙ্গে রফিকুলের সামাজিকভাবে বিয়ে হয়নি। বিয়ে নিয়ে অস্পষ্টতা রয়েছে।
র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রফিকুল জানান, প্রতিবার ওয়াজের জন্য তিনি ১৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ওয়াজ করেই মাসে ৫-৬ লাখ টাকা আয় করেন তিনি। মাঝে মাঝে বিমান ও হেলিকপ্টারে গিয়ে ওয়াজ করেন। যারা তাকে নিমন্ত্রণ জানান, তারা এর খরচ বহন করেন।
 
জিজ্ঞাসাবাদে মাদানি বলেন, ‘কী আর বলমু স্যার, জোশের কারণে অনেক সময় হুঁশ থাকে না। ওয়াজের মঞ্চে উঠলে শরীরে একটা জোশ চলে আসে। তখন আর নিজেরে ধরে রাখা যায় না। অনেক কিছু না বুঝেই বলে ফেলছি। আর এমন হবে না। এবারের মতো আমারে মাফ করে দেন।’
এটি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম।
 
‘শিশু বক্তা’ হিসেবে হঠাৎ পরিচিত হয়ে ওঠা রফিকুল ইসলাম কিছুটা অস্বাভাবিক খর্বকায়, বালকসুলভ চেহারা ও কোমল কণ্ঠস্বরের অধিকারী। তার নিজের ভাষ্যমতে, ‘১৯৯৫ সালে আমার জন্ম। কে বলছে আমি শিশু? আমার বয়স ২৬ বছর।’
রফিকুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনায়। স্থানীয় স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হলেও পরে তিনি মাদ্রাসায় ভর্তি হন ও নূরানি, হেফজ পড়েন। এরপর আট বছর কিতাবখানায় পড়েন।
মাদ্রাসার ছাত্র থাকার সময় বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ করতেন রফিকুল। তিনি দাওরায়ে হাদিস পড়েছেন রাজধানীর জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদ্রাসায়। একই সঙ্গে তিনি বিএনপি-জামায়াত জোটের শরিক দল জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের অঙ্গসংগঠন যুব জমিয়তের নেত্রকোনা জেলার সহসভাপতি। নেত্রকোনার পশ্চিম বিলাশপুর সাওতুল হেরা মাদ্রাসার পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করে আসছেন ‘শিশু বক্তা’।
 
রফিকুলের নামের শেষে ‘মাদানী’ শব্দ যুক্ত করা নিয়েও বিতর্ক রয়েছে। সাধারণত সৌদি আরবের মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়াশোনা করেন, তাদের নামের সঙ্গে ‘মাদানী’ যুক্ত করা হয়। অভিযোগ, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা না করেই নিজের নামের সঙ্গে ‘মাদানী’ শব্দ যুক্ত করেছেন তিনি।
এরই মধ্যে ‘মাদানী’ শব্দ প্রত্যাহার করতে রফিকুলকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী। তার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শরীফুল হাসান খান গত ১৫ ফেব্রুয়ারি এই নোটিশ পাঠান।
বিতর্কিত বক্তা হওয়ায় রফিকুল ইসলামকে ওয়াজকারী বক্তাদের সংগঠন রাবেতাতুল ওয়ায়েজিন বাংলাদেশের সদস্য করা হয়নি। বরং সংগঠনটির পক্ষ থেকে তাকে বিভিন্ন সময় অপ্রাসঙ্গিক বক্তব্য না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।


সর্বশেষ - রাজনীতি