জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করলো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি গেমস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে আসন গ্রহণের পর জাতীয় সঙ্গীত বেজে ওঠে। এরপর ক্রীড়াবিদরা সারিবদ্ধ হয়ে মাঠে অবস্থান নেন। ক্রীড়াবিদদের পক্ষে শপথবাক্য পাঠ করেন আরচার রোমান সানা এবং বিচারকদের পক্ষে শপথবাক্য পাঠ করান সাবেক জুডো তারকা কামরুন্নাহার হিরু।
প্রধানমন্ত্রীকে ক্রীড়াবিদদের অভিবাদনের পর শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিওএর মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা। এরপর বিওএ সভাপতি ও সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথির বক্তব্যের পর সন্ধ্যা ৭টা ৪১ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে গেমস উদ্বোধন করেন। তিনি সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী মাঠে আসতে না পারার দুঃখের কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি খেলাধুলা সবসময়ই পছন্দ করি এবং সবসময় নিজে মাঠে উপস্থিত থাকতে চেষ্টা করেছি অতীতে। এবার পারলাম না, এটা আমার জন্য সবচেয়ে দুঃখজনক। তারপরও আমি বলবো, সবার নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই আসিনি। আশা করি, এখন থেকে ৩১ ডিসিপ্লিনে যে খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে, আপনারা স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলবেন।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এবারের গেমস আয়োজন বঙ্গবন্ধুর নামে। যে কারণে এবারের গেমসের মশাল যাত্রা শুরু হয়েছিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার বঙ্গবন্ধুর সমাধিস্থল থেকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়া, যে মাটিতে জাতির পিতা জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং যে মাটিতে তিনি ঘুমিয়ে আছেন সেখান থেকে বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের মশাল প্রজ্বলিত হয় এবং তা ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। সেজন্য সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।’