নিজেদের ডেরায় ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ যে কত শক্ত প্রতিপক্ষ, হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো বড় দলগুলোও। শেষ ৮ বছরে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড ছাড়া আর কারও কাছে দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ হারেনি টাইগাররা।
২০১৫ সাল থেকে একমাত্র ইংল্যান্ডই দুইবার বাংলাদেশ সফরে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে। নিজেদের দেশে বাকি ১৪টি দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজই জিতেছে টাইগাররা। যার সর্বশেষটি এলো আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড যেই মানের দলই হোক না কেন, তাদের শক্তি ও সামর্থ্য যত কমই হোক না কেন, এভাবে দাপুটে খেলে জেতা অবশ্যই বড় কৃতিত্বের। এক কথায় ‘দারুণ’ এক ওয়ানডে সিরিজ শেষ করলো তামিম ইকবালের বাংলাদেশ।
একটা তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ থেকে যতরকম ব্যক্তিগত ও দলগত অর্জন সম্ভব, তার প্রায় সবটাই করে দেখিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
তিন ম্যাচের সিরিজে প্রথম ২ ম্যাচে রেকর্ড গড়া দলীয় সংগ্রহ (৩৩৯ ও ৩৪৯)। আজ বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে আইরিশদের ১০১ রানে অলআউট করে ১০ উইকেট জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছে বাংলাদেশ। যা আগে কখনই ছিল না।
এতগুলো মাইলফলকের সিরিজ শেষ করে সবাই জের টানছেন, সত্যিই দারুণ এক মিশন শেষ করলো তামিমের দল। এমন একটা সিরিজ যেখানে সব জায়গায় টিক চিহ্ন দেওয়া যায়। অধিনায়ক তামিমও কি তেমনটাই মনে করেন?
বাংলাদেশ দলপতির জবাব, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। এটাকে পারফেক্ট সিরিজই বলতে পারি। যদি না পাওয়া জোর করে বের করতে হয়, তাহলে বলব দ্বিতীয় ম্যাচটা ওয়াশআউট না হলে ভালো হতো। এছাড়া আমাদের নিয়ন্ত্রণে যা যা ছিল, আমরা তার সবই করেছি।’
২০১৫ সাল থেকে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স
১. জিম্বাবুয়েকে হারায় ৫-০ ব্যবধানে
২. পাকিস্তানকে হারায় ৩-০ ব্যবধানে
৩. ভারতকে হারায় ২-১ ব্যবধানে
৪. দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় ২-১ ব্যবধানে
৫. জিম্বাবুয়েকে হারায় ৩-০ ব্যবধানে
৬. আফগানিস্তানকে হারায় ২-১ ব্যবধানে
৭. ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় ১-২ ব্যবধানে
৮. জিম্বাবুয়েকে হারায় ৩-০ ব্যবধানে।
৯. ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় ২-১ ব্যবধানে
১০. জিম্বাবুয়েকে হারায় ৩-০ ব্যবধানে
১১. ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় ৩-০ ব্যবধানে
১২. শ্রীলঙ্কাকে হারায় ২-১ ব্যবধানে
১৩. আফগানিস্তানকে হারায় ২-১ ব্যবধানে
১৪. ভারতকে হারায় ২-১ ব্যবধানে
১৫. ইংল্যান্ডের কাছে হেরে যায় ১-২ ব্যবধানে
১৬. আয়ারল্যান্ডকে হারায় ২-০ ব্যবধানে।