1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

৪ মার্চ ১৯৭১ : ইতিহাসের এই দিনে

ইবার্তা সম্পাদকীয় : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩

৪ মার্চ ১৯৭১। অগ্নিঝরা মার্চের এই দিনটির ঘটনা প্রবাহের দিকে তাকালে বোঝা যায় বাঙালি জাতি কী ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিল মুক্তিযুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। যে প্রস্তুতির সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন আমাদের ‘হ্যামিলনের বংশীবাদক’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কার্যত ৪ মার্চ পূর্ব বাংলায় ইয়াহিয়া-ভুট্টো নয়, চলছিল শেখ মুজিবের শাসন।

এদিন এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হরতালের জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যে সব কর্মচারী বেতন পাননি তাদের সুবিধার্থে প্রতিদিন দু’ ঘণ্টার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে। বাংলাদেশের জন্য অনধিক পনের শ’ টাকা পরিমাণ বেতনের চেকই কেবল ক্যাশ করা যাবে। স্টেট ব্যাংকের মাধ্যমে অথবা অন্য কোনো মাধ্যমে বাংলাদেশের বাইরে কোনো টাকা পাঠানো যাবে না।

শোষণ ও ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে আহূত প্রতিবাদে বাংলাদেশের প্রতিটি নারী, পুরুষ, শিশু তেজদীপ্ত সাড়া দেওয়ায় জনতাকে অভিনন্দন  জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বেসামরিক, নিরস্ত্র শ্রমিক, কৃষক ও ছাত্রজনতা বুলেটের সামনে যে সাহস ও প্রত্যয়ের সঙ্গে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন তা বিশ্ববাসীর কাছে লক্ষণীয়। তাই বাংলার সকল শ্রেণি ও পেশার মানুষের প্রতি অভিনন্দন  জানাচ্ছি।

এ রকম পরিস্থিতিতে ভুট্টো বলেন, ‘জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণার ফলে আওয়ামী লীগ যে চরম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তা আশা করা যায় না। আওয়ামী লীগের সাথে ৬ দফা প্রশ্নে আলাপ-আলোচনার জন্য শুধু জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্বল্প সময়ের জন্য স্থগিত ঘোষণার দাবি করেছিলাম মাত্র।’

কিন্তু ভুট্টোর এই মন ভোলানো কথায় মন গলেনি বীর বাঙালির। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সারাদেশে পালিত হয় স্বত:স্ফূর্ত হরতাল। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত রাখার প্রতিবাদে প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে দুপুর ২ টা হরতাল পালনের সিদ্ধান্তে অনড় থাকে বাঙালি জাতি।


সর্বশেষ - রাজনীতি