আলোচিত ২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার অন্যতম আসামি সাজ্জাদ হোসেন বরকত-ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের মালিকানাধীন সাউথ লাইনের ১২টি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায় পুলিশ।
বাসগুলো পুড়িয়ে নষ্ট করে ইন্স্যুরেন্সের ক্ষতিপূরণ এবং ব্যাংক লোনের দায় থেকে মুক্তি পেতে আসামিরা দুর্বৃত্তদের দিয়ে এমন কাজ করিয়েছেন বলে জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, অর্থপাচার মামলায় সিআইডির জব্দকৃত ১২টি বাসে গত ১২ মার্চ রাতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশের তরফ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়। ২১ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানা পুলিশ শহরের গোয়ালচামটস্থ হেলিপ্যাড বাজার এলাকা থেকে তিনজনকে আটক করে।
আটকরা হলো- শহরের পশ্চিম গোয়ালচামট ২নং সড়কের রফিকুল ইসলামের ছেলে জহুরুল ইসলাম জনি (২৪), পশ্চিম গোয়ালচামট এলাকার মৃত সোরাপ মৃধার ছেলে পারভেজ মৃধা (২১) ও নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের গোড়াইল গ্রামের শেখ আব্দুল হাকিমের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪১)। আসামিরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাস পোড়ানোর কথা স্বীকার করেছে বলে জানায় পুলিশ। প্রেস ব্রিফিং থেকে জানানো হয়, অর্থপাচার মামলায় জব্দকৃত বাসগুলোর ইন্স্যুরেন্সের ক্ষতিপূরণ ও ব্যাংক লোনের দায় থেকে অব্যাহতি পেতে কারাগারে আটক থাকা দুই ভাই সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল আটকদের দিয়ে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটায়। আটক আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ ফরিদপুরের গোয়ালচামট বিদ্যুৎ অফিসের সামনে একটি শেডে জব্দকৃত ১২টি বাস রাখা ছিল। এ বাসগুলোর মালিক ২ হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার অন্যতম আসামি শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।