1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

জাতীয়তাবাদী মহিলা দল : ‘ঠেলাঠেলির ঘর, খোদায় রক্ষা কর’

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ১৪ মার্চ, ২০২২

কথায় বলে, ‘ঠেলাঠেলির ঘর, খোদায় রক্ষা কর’। বিএনপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের অবস্থাও অনেকটা সেরকমই। মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির মাধ্যমে চলছে মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কার্যক্রম। অভিযোগ রয়েছে, বিএনপির সহযোগী এ সংগঠনে অসাংগঠনিক ব্যক্তিদের প্রাধান্য বাড়ছে। এতে তীব্র হচ্ছে অভ্যন্তরীণ সংকট আর অন্তর্কলহ। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংগঠনকে গতিশীল করতে সাবেক ছাত্রদল নেত্রীদের যথাযথ মূল্যায়ন করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জোরালো হচ্ছে মহিলা দলে।

২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আফরোজা আব্বাসকে সভাপতি ও সুলতানা আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে দুই বছর মেয়াদে মহিলা দলের আংশিক কমিটি দেয় বিএনপি। ২০১৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর ওই কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পরপরই বিএনপির হাইকমান্ড মহিলা দলের নতুন কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু আকস্মিকভাবে ওই প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। তিন বছরের মাথায় ২০১৯ সালের ৪ এপ্রিল সংগঠনটির ২৬৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। তারপর পেরিয়েছে আরও প্রায় তিন বছর।

ওই মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিই সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ মহিলা দলের কমিটি করে দেয়, যা নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। মহানগর উত্তর শাখার আহ্বায়ক করা হয়েছে নায়েবা ইউসুফকে। আর মহানগর দক্ষিণ শাখার আহ্বায়ক করা হয়েছে রুমা আক্তারকে। রুমার বিষয়ে সংগঠনের ভেতরেই আলোচনা উঠেছে, তিনি ‘স্বশিক্ষিত’ এবং বিএনপির প্রভাবশালী একজন নেতার পরিবারের ‘কাজের লোক’। তার অধীনে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক পদায়ন করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী শাহীনুর নার্গিসকে।

অভিযোগ রয়েছে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে এমন অনেককেই সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে, রাজনৈতিক অঙ্গনে যাদের তেমন পরিচিতি নেই এবং যারা বিগত দিনে বিএনপির রাজনীতিতে তেমন সক্রিয়ও ছিলেন না। শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যোগাযোগ ধরে রেখেই তারা পেয়েছেন বড়োসড়ো পদ।

কয়েকজন নেত্রী বলেছেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সহধর্মিণী। অন্যদিকে সুলতানা আহমেদ ২০০৪ সালে বিএনপিতে যোগদানের আগে দলের কোনো পদে ছিলেন না। ২০০৫ সালে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি হন তিনি। ওই সময় তার হলফনামায় তিনি নিজেকে ‘স্বশিক্ষিত’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তাদের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক করা হয় ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী হেলেন জেরিন খানকে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে তাকে কৌশলে কোণঠাসা করা হয়। ফলে দাপুটে নেত্রী হিসেবে পরিচিত হেলেন অভিমানে ধীরে ধীরে সংগঠনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ান। এভাবে মহিলা দলের রাজনীতি থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন ছাত্রদলের সাবেক নেত্রী ও সাবেক এমপিদের বড় একটি অংশ।

ছাত্রদলের সাবেক নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৯ সালের এপ্রিলে মহিলা দলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পরই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। দুজনের অনুসারীদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দ্বন্দ্ব নিরসনে বিভিন্ন সময় উদ্যোগ নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংগঠনের কেন্দ্রীয় এক নেত্রী বলেন, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ভেঙে পড়েছে চেইন অব কমান্ড। বিশেষত শীর্ষ নেতৃত্বের সাংগঠনিক অদক্ষতা ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সংগঠনের তৃণমূলে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দায়িত্বশীলদের অসৌজন্যমূলক আচরণে সংগঠন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক কর্মীরা।


সর্বশেষ - রাজনীতি