প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘করোনা মহামারি, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দা তার ওপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ যার ফলে আজ সারাবিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে। পরিবহন খরচ বেড়েছে, পণ্যমূল্য বেড়েছে, প্রতিটি জিনিসের মূল্য আজ ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনেক উন্নত দেশ হিমশিম খাচ্ছে, আমাদের দেশে এখনও অর্থনীতিকে গতিশীল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ২১ মিনিটে তিনি সেনানিবাস উদ্বোধন করেন। এর আগে বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে তিনি মিঠামইনে পৌঁছান তিনি।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সবার কাছে আহ্বান করেছি যেহেতু খাদ্যপণ্যের মূল্য বেড়ে গেছে এক ইঞ্চি জায়গাও আমরা অনাবাদি রাখবো না। সব অনাবাদি জমি আমরা আবাদের আওতায় আনবো।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে সশ্রস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠেছে। আমরা সেনানিবাসের আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছি। এই সেনানিবাস হাওর এলাকার নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
এরপর দুপুর ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে মিঠামইন ছেড়ে যাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে হাওরের প্রতিটি প্রবেশপথ ও পয়েন্ট। হাওরে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নসহ দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্রের মাধ্যমে সাজানো হয়েছে। সর্বত্র শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত সরকারে উন্নয়ন চিত্রের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে হাওর জনপদে।