1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ছয় লেনের মাতামুহুরী সেতু দৃশ্যমান

নিজেস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

মাতামুহুরী নদীর ওপর নির্মিতব্য ছয় লেনের সেতু এখন দৃশ্যমান হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের শুরুতে সেতুর তিনটি লেন যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পর ব্যাপক সুফল এসেছে। এখন বাকি তিন লেনের কাজও শেষ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে স্বপ্নের ছয় লেনের সেতু চলতি পথেই বেশ নজর কাড়ছে।

বর্তমানে সেতুর দুই প্রান্তের সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে। আগামী মার্চের মধ্যে সেতুর দুপাশে ২৭৫ মিটার দীর্ঘ সংযোগ সড়ক নির্মাণ শেষ হলে পুরো ছয় লেনের সেতুটি উদ্বোধন করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুধু মাতামুহুরী সেতু নয়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এই ধরনের ছয় লেনের তিন সেতুর নির্মাণকাজও শেষের পথে। এর মধ্যে চন্দনাইশের বরগুনি সেতুতে ইতোমধ্যে যান চলাচল শুরু হয়েছে। দৃশ্যমান হয়েছে দোহাজারীর সাঙ্গু সেতু। কাজ শেষের পথে পটিয়া ইন্দ্রপুল সেতুর।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের ক্রস বর্ডার রোড ইমপ্রুভমেন্ট নেটওয়ার্কের নির্বাহী প্রকৌশলী এবং প্রকল্প ব্যবস্থাপক জুলফিকার আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চারটি সেতুর মধ্যে তিন লেন আগেই চালু হয়েছে। বাকী তিন লেনের কাজও পুরোপুরি সম্পন্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে চলছে সেতুর দুদিকের সংযোগ (এপ্রোচ) সড়ক নির্মাণের কাজ। আগামী মার্চের মধ্যেই এপ্রোচ সড়ক নির্মাণকাজও পুরোপুরি সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।’

প্রকল্প ব্যবস্থাপক বলেন, ‘ছয় লেনের চারটি সেতুর মধ্যে শুধুমাত্র পটিয়ার ইন্দ্রপুল সেতুর বাকী তিন লেনের কাজ কিছুটা অসম্পূর্ণ রয়েছে। এ সব কাজ সম্পন্ন হলেই সুবিধাজনক সময়ে সেতুগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়েই ছয় লেনের সেতু দিয়েই যানবাহন চলাচল শুরু হবে।’

প্রকল্প ব্যবস্থাপক সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি নির্মিত হবে ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ে। সেই ডিজাইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মহাসড়কটিতে আগেই নির্মাণ করা হচ্ছে ছয় লেনের চারটি সেতু। এই চার সেতুর নির্মাণকাজে অর্থায়ন করেছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। এর মধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মাতামুহুরী সেতুর ছয় লেনের মূল নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের বন্যার পর। ছয় লেনের এই চারটি সেতু নির্মাণের বিপরীতে ব্যয় হয়েছে ৭৫১ কোটি টাকা। তন্মধ্যে শুধুমাত্র মাতামুহুরী সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৭৪ কোটি টাকা।

সওজ এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনালের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ছয় লেনের সেতুগুলোর মধ্যে মাঝখানের চার লেনে চলাচল করবে দূরপাল্লার ও দ্রুতগতির যানবাহন। বাকি দুই লেন দিয়ে চলবে ধীরগতির তথা স্থানীয় যানবাহন। এ ছাড়া এই দুই লেনে (উভয় পাশে) ফুটপাত হিসেবে ব্যবহারের জন্য এক মিটার করে উন্মুক্ত থাকবে।’

জানা গেছে, ডিজাইন অনুযায়ী ছয় লেনের মাতামুহুরী সেতুর দৈর্ঘ্য ৩২১ মিটার এবং প্রস্থ ৩০ মিটারের বেশি। সেতুর পূর্ব প্রান্তে মহাসড়কের জিদ্দাবাজার পর্যন্ত (কাকারা রাস্তার মাথা) এবং পশ্চিম প্রান্তে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কার্যালয় পর্যন্ত এই সেতুর অ্যাপ্রোচ সড়ক নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুটির দুই প্রান্তের নিচে নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজও শেষ হয়েছে ৯০ শতাংশ। বাকী কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, ‘ছয় লেনের এক্সপ্রেসওয়ের ডিজাইনে জেলার সবচেয়ে দীর্ঘ ও বড় মাতামুহুরী সেতুর নির্মাণকাজ দ্রুত শেষ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই সেতু চালু হলে চকরিয়া শহরের ওপর দিয়ে দূরপাল্লার যান নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।’


সর্বশেষ - রাজনীতি