পবিত্র রমজান মাসে প্রায় এক কোটি পরিবারকে বিনা মূল্যে ১০ কেজি করে চাল দেবে সরকার। রমজানের শুরুতে ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ)-এর আওতায় এই চাল দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ীই এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে বলে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিশেষত দেশের পল্লি অঞ্চলে এই কর্মসূচির আওতায় চাল দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ প্রস্তুতকৃত তালিকার ওপর ভিত্তি করেই চাল বিতরণ করা হবে।
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ভিজিএফ কর্মসূচির মাধ্যমে চাল দেওয়া ছাড়াও শহর এলাকায় খোলাবাজারে বিক্রি (ওএমএস) কর্মসূচির আওতায় চাল দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ওএমএস কর্মসূচিতে আটার পরিমাণও বাড়ানো হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিয়মিতভাবেই দেশব্যাপী আড়াই হাজার ডিলারের মাধ্যমে ধান ও আটা বিতরণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ওএমএস কর্মসূচির আওতায় নিম্ন আয়ের লোকেরা মাত্র ৩০ টাকায় ৫ কেজি চাল এবং মাত্র ২৪ টাকায় ৩ কেজি আটা কিনতে পারেন। রমজান মাসে দেশের কোনো মানুষেরই চালের অভাব হবে না।
একই সঙ্গে মার্চ থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিও শুরু হবে বলে অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। প্রায় ৫০ লাখ পরিবারকে ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে। প্রতিকেজি চালের দাম ১৫ টাকা করে রাখা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এ মৌসুমে আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। যদি বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়, তাহলে বিদেশ থেকে আর চাল আমদানি করার প্রয়োজন হবে না।
খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকারি গুদামে চাল ও গমের মজুদের পরিমাণ বেশ ভালো অবস্থায় আছে। প্রায় ২০ লাখ টন চাল ও গম সরকারি গুদামগুলোতে রয়েছে। সাধারণত প্রতি মাসে দেড় থেকে দুই লাখ টন চাল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হয়। নতুন কর্মসূচিগুলোর কারণে তা প্রায় দ্বিগুণ হতে যাচ্ছে।