1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

রো‌হিঙ্গাদের ৫.৭ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে জাপান

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

বাংলাদেশের কক্সবাজার ও ভাসানচরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং আশ্রয়কেন্দ্রের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৫৭ লাখ ডলার সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান।

সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং আইওএম বাংলাদেশের চিফ অফ মিশন আবদুসাত্তর এসোয়েভ এ সংক্রান্ত একটি এক্সচেঞ্জ অফ নোটস (দ্বিপক্ষীয় বেসরকারি চুক্তি) সই করেছেন।

এ সময় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের দ্রুত মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনসহ টেকসই সমাধানের জন্য কাজ করে যাবে জাপান। শরণার্থী ও স্বাগতিক সম্প্রদায়ের জন্য উন্নত জীবনযাত্রার জন্য আইওএমসহ অন্য আন্তর্জাতিক সংস্থাকে সহযোগিতা করবে জাপান।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এ সংকটে টেকসই সমাধান খুঁজে বের করা আমাদের জন্য একটি মুক্ত এবং স্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক ধারণার জন্য সহায়ক হবে।’

ইওয়ামা কিমিনোরি আশা প্রকাশ করেন যে জাপান সরকারের সহায়তা, রোহিঙ্গা এবং স্বাগতিক, উভয় সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রায় উন্নতি ঘটাবে।

কিমিনোরি বলেন, ‘গত মাসে আমার শেষ কক্সবাজার সফরের সময় আইওএম পরিচালিত রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্রসহ আইওএমএ’র প্রচেষ্টায় আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম। রোহিঙ্গা সংকটের ষষ্ঠ বছর চলছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই দুর্বল জনগোষ্ঠীকে ভুলে যাওয়া উচিত নয়। তারা এখনও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাপান সরকারের কাছে তাদের অব্যাহত সহায়তার জন্য অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। এ সহায়তা, আইওএম-বাংলাদেশকে কক্সবাজার এবং ভাসানচরে দুর্বল রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়কে সহায়তা দিতে সাহায্য করবে।

ঢাকায় অবস্থিত জাপান দূতাবাস বলেছে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ও আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়গুলো পর্যাপ্ত আশ্রয়ের অভাবের কারণে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। তারা তাদের গোপনীয়তা, নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মর্যাদা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।

দূতাবাস আরও বলেছে, ভাসানচরে জীবিকার সুযোগ রয়েছে। সেখানে অ্যাকুয়াকালচার, ছোট গবাদি পশু পালন, বৃত্তিমূলক এবং দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ আরও বাড়াতে হবে।

দ্য প্রজেক্ট ফর প্রমোটিং শেল্টার আপগ্রেড অ্যান্ড কমিউনিটি বিল্ডিং ইন ভাসান চর অ্যান্ড কক্সে’স বাজার ডিস্ট্রিক্ট’-শিরোনামের প্রকল্প, কক্সবাজার ক্যাম্প এবং আশ্রয়দাতা সম্প্রদায়ের ৩৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থান, সুরক্ষা এবং মনোসামাজিক কার্যকলাপের সুযোগ বাড়াতে সক্ষম করবে। সেই সঙ্গে ১১ হাজার ৫০০টিরও বেশি পরিবার, আশ্রয়ের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ সহায়তা পাবে।

সাইট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড সাইট ডেভেলপমেন্ট (এসএমএসডি) প্রকল্পটির কাজের মাধ্যমে ক্যাম্পের বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। প্রকল্পটি ভাসানচরে উন্নত জীবিকার সুযোগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের বিশেষ করে নারী ও যুবকদের আত্মনির্ভরশীলতাকে শক্তিশালী করবে।

২০১৭ সালের আগস্টে জরুরি অবস্থার শুরু থেকেই জাপান বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তার বিষয়ে সমর্থন জানিয়ে আসছে; এবারের এই অর্থায়নের মাধ্যমে আইওএম ও অন্যান্য জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশে কর্মরত এনজিওগুলোতে ২০ কোটি ডলারেরও বেশি সহায়তা করেছে।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। বিগত তিন দশক ধরে মায়ানমার থেকে ৩ লাখের অধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। বর্তমানে কক্সবাজারে সব মিলিয়ে অন্তত ১১ লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে। তাদের অনুপ্রবেশের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও মিয়ানমারের অনীহায় প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। এরইমধ্যে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জান্তা সরকার আসার পর থেকেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।


সর্বশেষ - রাজনীতি