ঋতুরাজ বসন্ত শুরু আগামীকাল। একই সঙ্গে এদিন বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। এ দুই দিনে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে ফুলের। ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে শুভেচ্ছা জানানোর অন্যতম উপকরণ এটি। আর ফুল ছাড়া যেন বসন্ত বরণই হয় না। তাই তো দেশের হাটবাজারে ফুলের পসরা নিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা।
ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন ঘিরে বগুড়ার হাটবাজারে উঠেছে নানান জাতের গোলাপ। প্রকারভেদে প্রতি পিস গোলাপ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া আছে নতুন জাতের রজনীগন্ধা, চন্দ্রমল্লিকা, গ্লাডিওলাসসহ বিভিন্ন ধরনের ফুল।
বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় শহীদ খোকন পৌর শিশু উদ্যান ঘেঁষে রয়েছে ফুলের বাজার। সেখানে ১৭টি দোকানে দিনে গড়ে ৫ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হয়। বিশেষ দিনে অনেক দোকানে দেড় লাখ টাকার ফুলও বিক্রি হয়। এই বাজারে রয়েছে হলুদ গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, লাল ও সাদা গোলাপ, ডালিয়া, টিউলিপ, অর্কিডসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফুল।
বগুড়া ফুল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ দাস অমিত বলেন, সারা বছরই ফুলের বেচাকেনা চলে। তবে ভালোবাসা দিবসসহ বিশেষ দিনে বেশি বিক্রি হয়।
সারাদেশে সৌরভ ছড়াবে গদখালীর গোলাপ: ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুনকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে যশোরের গদখালী পাইকারি ফুলের বাজার। রোববার এই বাজারে অন্তত ১ কোটি টাকার গোলাপ বিক্রি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এবার গোলাপের পাইকারি দামে রেকর্ড ভেঙেছে। প্রতিটি গোলাপ ১৫ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। একই সঙ্গে গ্লাডিওলাস, জারবেরা ও রজনীগন্ধার দামও চড়া।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে গদখালী বাজারে ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা ভোর সাড়ে ৫টা থেকে আসা শুরু করেন। বগুড়া, রাজশাহী, গোপালগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারীরা ফুল কিনতে আসেন। ১০টার মধ্যে শেষ হয় কেনাবেচা। গদখালী ফুল চাষি ও ফুল ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল এক দিনেই গদখালী বাজার ও ক্ষেত থেকে অন্তত ১০ লাখ গোলাপ সারাদেশে পাঠানো হয়েছে।
এক ছাদে ৪০০ প্রজাতির গোলাপ: পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের পাঠশালা মোড়ে এক বাড়ির ছাদে প্রায় ৪০০ প্রজাতির গোলাপ রয়েছে। জনতা ব্যাংকের ঈশ্বরদীর রূপপুর শাখার সিনিয়র অফিসার দানিয়াসুল আলম শামিম বাড়ির ছাদে এই বাগান করেছেন। তিনি জানান, ছাত্রজীবনে বাড়ির সামনে ফুলের বাগান করেন। ২০১৫ সালে বিয়ের পর স্ত্রীর পছন্দ অনুযায়ী ‘অরেঞ্জ ফায়ার’ নামে এক জাতের গোলাপ চারা ছাদে রাখেন। পরের বছর রাজশাহীতে পুষ্পমেলায় এক স্টলে প্রায় ১০০ জাতের গোলাপ দেখে মুগ্ধ হন। তখন থেকেই গোলাপের জাত সংগ্রহ শুরু। ৫০০ প্রজাতির গোলাপের জাত সংগ্রহ করে দেশে রেকর্ড গড়ার ইচ্ছা তাঁর।