1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাজার স্থিতিশীল রাখতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১৩% বাড়াচ্ছে সরকার

eb-editor : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

সরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে এ মুহূর্তে চালের যথেষ্ট মজুদ রয়েছে। তবু ভরা মৌসুমেও কমছে না চালের দাম। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্যশস্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে চলতি অর্থবছরের পাশাপাশি আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএস কার্যক্রম প্রায় ১৩ শতাংশ বাড়িয়ে নির্ধারণ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। যার মাধ্যমে ১৬ লাখ টনেরও বেশি খাদ্যশস্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রি করা হবে। এছাড়া নতুন অর্থবছরে আমদানি ও অভ্যন্তরীণভাবে ৩৩ লাখ ৪০ হাজার টন খাদ্যশস্য সংগ্রহ করা হবে বলেও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

সব মিলিয়ে যাবতীয় কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য আগামী অর্থবছর বরাদ্দ বাড়িয়ে ২১ হাজার ৬২১ কোটি ২০ লাখ টাকা চেয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। চলতি অর্থবছরের বাজেটে তাদের বরাদ্দের পরিমাণ ১৯ হাজার ৮৯৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ দাবি ও বিভিন্ন কার্যক্রমের তথ্য উল্লেখ করে সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

সূত্র জানায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএস কার্যক্রমের মাধ্যমে কম দামে মোট ১৪ লাখ ৩০ হাজার টন খাদ্যশস্য বিক্রি করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯ লাখ ১৩ হাজার টন চাল এবং ৫ লাখ ১৭ হাজার টন গম। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৯ লাখ ৬০ হাজার ৯৬৪ টন খাদ্যশস্য বিক্রি করা হয়েছে। যার মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় বিক্রি করা হয়েছে ৬ লাখ ৫৯ হাজার ৯৫১ টন চাল এবং ৩ লাখ ১ হাজার ১৩ টন গম।

এদিকে চলতি বছরের চেয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার টন অর্থাৎ প্রায় ১৩ শতাংশ বাড়িয়ে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএস কার্যক্রমের মাধ্যমে ১৬ লাখ ১০ হাজার টন খাদ্যশস্য বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে ১০ লাখ ৬০ হাজার টন চাল এবং ৫ লাখ ৫০ হাজার টন গম বিক্রি করা হবে।

দেশের জন্য খাদ্যনিরাপত্তায় যথেষ্ট পরিমাণ মজুদ ধরে রাখার পাশাপাশি খাদ্যশস্যের বাজার যেন অস্থির না হয়ে যায়, সে বিষয়ে কাজ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। গত অর্থবছরে সরকারি গুদামে খাদ্যশস্যের মজুদ বেশি না থাকলেও এবার মজুদ ভালো। তাই এবার মজুদের বিষয়ে না ভেবে সংগৃহীত খাদ্যশস্য বিতরণের মাধ্যমে মূল্য যেন সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায়, তার ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১ কোটি পরিবারকে খাদ্যসহায়তার আওতায় আনা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় খাদ্যশস্য বিক্রির পারিমাণ বাড়ানোর সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে।

পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য মজুদ, সংরক্ষণ, খাদ্যের মান পরীক্ষাসহ দেশে সুষ্ঠু খাদ্যনিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করতে কাজ করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্য পরিকল্পনা, গবেষণা ও পরিধারণ বিষয়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে খাদ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে চুক্তি সম্পাদন ও যোগাযোগ স্থাপনও করা হয়। এছাড়া নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩-এর আওতায় গৃহীত সব কার্যক্রম বাস্তবায়নেও কাজ করা হয়।

এদিকে সারা দেশে বিদ্যমান বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার আওতায় মোট ৫০টি খাদ্য পরীক্ষাগারের তথ্য সংবলিত একটি ল্যাব ডাইরেক্টরি তৈরি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের আওতায় সারা দেশে আধুনিক মানের ৫ লাখ ৩৫ হাজার টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টিল সাইলো নির্মাণকাজ চলমান। একই সঙ্গে ডিজিটাল পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম চালুর কাজও এগিয়ে চলছে।

পাশাপাশি দেশের কৌশলগত স্থানে নতুন খাদ্য গুদাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ, সারা দেশে পুরনো খাদ্যগুদাম ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি মেরামত ও নতুন অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। খাদ্যশস্যের পুষ্টিমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রিমিক্স কার্নেল মেশিন ও ল্যাবরেটরি স্থাপন এবং নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও আনুষঙ্গিক সুবিধাসহ আধুনিক ধানের সাইলো নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারের গুদামে খাদ্যশস্যের মজুদ রয়েছে ১৯ লাখ ৮৫ হাজার টন। এর মধ্যে চাল ১৭ লাখ ২৪ হাজার টন, গম ২ লাখ ৩০ লাখ টন এবং ধান ৪৭ হাজার টন।

অন্যদিকে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাজধানীর বাজারে মোটা চাল বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪৬ থেকে ৫০ টাকায়। এক মাস আগে যা ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। গতকাল পাইজাম, লতাসহ অন্যান্য মাঝারি মানের চাল প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৫২ থেকে ৫৬ টাকায়। এক মাস আগে যা ছিল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা। নাজিরশাইল, মিনিকেটসহ অন্যান্য সরু চাল বিক্রি হয়েছে ৬২ থেকে ৭০ টাকায়। এক মাস আগেও যা ছিল ৬০ থেকে ৬৮ টাকা।


সর্বশেষ - রাজনীতি