1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

চালুর অপেক্ষায় দেশের প্রথম ছয় লেনের কালনা সেতু

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মধুমতী নদীর কালনা পয়েন্টে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। দৃষ্টিনন্দন এ সেতু হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। পদ্মা সেতুর সঙ্গে চালু করার লক্ষ্যে চলছে সেতুটির নির্মাণ কাজ।

এ সেতুর পূর্ব পাড়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা ও পশ্চিম পাড়ে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা। সেতুটি চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কমপক্ষে ১০ জেলা মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালের ১৯ ডিসেম্বর নড়াইলে সুলতান মঞ্চে নির্বাচনী জনসভায় এ সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে এ সেতু নির্মিত হচ্ছে। জাপানের টেককেন কর্পোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড যৌথভাবে এ সেতুর ঠিকাদার হিসেবে কাজ করছে।

সেতুর সার্বিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে ৬৫ শতাংশ। সংযোগ সড়কের কাজও শেষের পথে। মূল সেতুর দুটি স্প্যান বসানোর কাজ বাকি আছে। এ স্প্যান দুটি বসানো হলে সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চালানো যাবে। আগামী ৩০ জুন থেকে এ সেতুতে গাড়ি চালানোর লক্ষ্যে কাজ চলছে। কারণ, জুনেই পদ্মা সেতু চালু হবে।

পদ্মা সেতু চার লেনের। আর মধুমতীর সেতু দেশের প্রথম ছয় লেনের। এটি দেশের সবচেয়ে বড় নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) সেতু। পদ্মা সেতুর পাইল ক্যাপ পানির ওপর পর্যন্ত। কিন্তু এ সেতুর পাইল ক্যাপ পানির নিচের মাটির ভেতরে। তাই নৌযান চলাচল সমস্যা হবে না, পলি জমবে না।

এ সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। চারটি মূল লেনে দ্রুত গতির এবং দুটি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে। সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১০ মিটার। উভয় পাশে সংযোগ সড়ক হবে ৪ দশমিক ২৭৩ কিলোমিটার, যার প্রস্থ ৩০ দশমিক ৫০ মিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ৯৫৯ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা। ২০১৮ সালের ২৪ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যাদেশ চুক্তি হয়। ঐ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তখন থেকে ৩৬ মাস ছিল মেয়াদকাল।

এ সেতু চালু হলে নড়াইল, যশোর, বেনাপোল স্থলবন্দর ও খুলনা থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারী পরিবহন মাগুরা-ফরিদপুর হয়ে যাতায়াতের পরিবর্তে কালনা হয়ে যাতায়াত করতে পারবে। এতে বেনাপোল ও যশোর থেকে ঢাকার দূরত্ব ১১৩ কিলোমিটার, খুলনা-ঢাকার দূরত্ব ১২১ কিলোমিটার এবং নড়াইল-ঢাকার দূরত্ব ১৮১ কিলোমিটার কমবে।

পদ্মা সেতু ও কালনা সেতু চালু হলে কালনা থেকে যশোর পর্যন্ত সড়কে পরিবহনের চাপ বাড়বে। বাঁচবে প্রচুর কর্মঘন্টা।


সর্বশেষ - রাজনীতি