1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ভাষা আন্দোলনে অসামান্য ভূমিকা ছিল নারীদেরও

ইবার্তা সম্পাদকীয় : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

নারীরাও পিছিয়ে ছিল না ভাষা আন্দোলনের সংগ্রামে। এজন্য ডা. সাফিয়া, সুফিয়া ইব্রাহিম, রওশন আরা বাচ্চু, শামসুননাহার, মমতাজ বেগম, ইলা বকশী, বেণু ধর, শাহেরা বানু, সৈয়দা লুৎফুন্নেছা খাতুন, সৈয়দা নজিবুন্নেছা খাতুন, রাবেয়া খাতুনসহ অনেক নারীকে বড় রকমের মাশুলও দিতে হয়েছে।

রওশন আরা বাচ্চুর লেখা ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ শীর্ষক এক নিবন্ধ থেকে জানা যায়, রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনকে আরও জোরদার করার জন্য ১৯৫১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সভা ও শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। আর এই আন্দোলনে স্কুল-কলেজের ছাত্রীদের যুক্ত করার জন্য ছাত্রীনিবাসের ছাত্রীরা এলাকা নির্ধারণ করে। বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে কামরুনেচ্ছা, বাংলাবাজার, ইডেন কলেজ ও মুসলিম গার্লস স্কুলের ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলার সভায় নিয়ে আসা হতো।

জানা গেছে, ভাষার দাবি সফল করতে ছাত্রীরা নানা ধরনের বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হয়। সে সময় রক্ষণশীল মুসলমান পরিবারের মেয়েরাই ছাত্রীনিবাসে থাকত। তবে ছেলেদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা নিষিদ্ধ ছিল। কথা বলতে হলে প্রক্টরের মাধ্যমে বলতে হতো। রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবি তুঙ্গে উঠলে সরকার আন্দোলন নস্যাৎ করার জন্য ২০ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা জারি করে। রওশন আরা বাচ্চু সকাল থেকেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী সংগ্রহের জন্য বেরিয়ে পড়েন।

গ্রেফতার এড়ানোর জন্য ছাত্রীরা প্রতিটি দলের সামনে থাকবে, এমনই সিদ্ধান্ত ছিল ১৪৪ ধারা ভাঙার আগে। সেদিন সাফিয়া খাতুন, রওশন আরা বাচ্চু আর হালিমা খাতুন ১৪৪ ধারা ভাঙার জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি নেন বলে জানা গেছে। আর সেই ঝুঁকি নিতে আহত হন তৈফুর, সুফিয়া ইব্রাহিম, শামসুন, সুরাইয়া ও ডলি।

ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে নারায়ণগঞ্জের মর্গান হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষয়িত্রী মমতাজ বেগমকে বড় ধরনের মাশুল দিতে হয়েছিল। তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীকে এক করতে পেরেছিলেন। তবে তাকে এক সময় কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগার থেকে মুক্তির জন্য বন্ড দেওয়ার জন্য বিশেষ চাপ প্রয়োগ করা হয়; কিন্তু তাতে তিনি রাজি হননি। আর রাজি না হওয়ার কারণে স্বামী তালাক দেন বলে রওশন আরা বাচ্চু তার এক গ্রন্থে লিখেছেন।

এছাড়া নারায়ণগঞ্জের ছাত্রী ইলা বকশী আর বেণু ধরকে কারাবন্দি করা হয়। শুধু তাই নয়, সিলেটের কুড়াউড়ার দশম শ্রেণির ছাত্রী ছালেহা বেগম কালো পতাকা উত্তোলনের কারণে তাকে স্কুল থেকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। তবে সিলেটে ভাষা সংগ্রামে এক গৌরবময় ভূমিকা রাখেন যোবেদা খাতুন চৌধুরী। পাশাপাশি যাদের অবদানের কথা না বললেই নয় তারা হলেন- সৈয়দা লুৎফুন্নেছা খাতুন, নজিবুন্নেছা খাতুন, রাবেয়া খাতুন প্রমুখ।


সর্বশেষ - রাজনীতি

নির্বাচিত

দীর্ঘশ্বাস থেকে মুক্তির পথ দেখাচ্ছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প বিশ্বে অনন্য: ড. অ্যাটলি পিয়ারসন

মালদ্বীপকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

বিশ্বের সব মুসলমানকে ঈদের শুভেচ্ছা সজীব ওয়াজেদ জয়ের

সুদান থেকে ফিরছে আরও দেড় শতাধিক বাংলাদেশি

দানকর পরিশোধের মাধ্যমেই ইউনূস স্বীকার করলেন কর ফাঁকির অপরাধ

আল জাজিরা কর্তৃক বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির বিবৃতি

৬ লক্ষাধিক মানুষের হাতে যুবলীগের খাদ্য, ত্রাণ ও স্বাস্থ্য সহায়তা

ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি বেড়েছে ২৩ শতাংশ

শাকসবজি বা মাছ রাসায়নিকমুক্ত করার উপায়