1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা: স্বস্তি ও অস্বস্তির নাটকীয়তা

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া গত ১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ৮১ দিন চিকিৎসা শেষে রাত সাড়ে আটটায় নিজবাসায় ফিরেছেন। ইলেকট্রনিক মিডিয়াগুলো হাসপাতাল থেকে তার বাসায় ফেরার লাইভ গুরত্বের সঙ্গে প্রচার করেছে। দলের নেতাকর্মীদের অনেকেই হাসপাতাল থেকে তার বাড়ি পর্যন্ত গাড়িবহরের সঙ্গে নানা স্লোগান সহকারে উৎফুল্লচিত্তে বিদায় জানিয়ে এসেছেন। বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে অবশ্যই এর একটি বিশেষ গুরত্ব রয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি জটিল চিকিৎসায় ছিলেন, দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিলো তিনি জীবনমরণ সন্ধিক্ষণে আছেন, যেকোনো সময় অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, তাকে অবিলম্বে বিদেশে উন্নত চিকিৎসায় পাঠানোর দাবিতে আন্দোলন শুধু দেশেই নয়, বিদেশেও বিএনপি নেতাকর্মীরা করেছেন।

বলা হয়েছিলো যে, তিনি এতটাই অসুস্থ যে তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনাই প্রশ্নের সম্মুখীন, চিকিৎসকরা তার রক্তক্ষরণ ও চিকিৎসাসেবা পুরোপুরি দিতে পারছেন না। কারণ, তাদের ভাষায় বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি প্রয়োজন তা বাংলাদেশে নেই, জার্মানি, ইংল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রেই কেবল রয়েছে বলে দাবি করা হয়। সেকারণে বাংলাদেশের চিকিৎসকরা তার জীবনমরণ সন্ধিক্ষণের মতো চিকিৎসায় কারিগরি প্রযুক্তির অভাব থেকেই পূর্ণ চিকিৎসা দিতে পারছেন না। এ ধরনের বক্তব্য দীর্ঘ এই ৮১ দিনের বেশ কদিন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে দেশবাসীকে জানিয়েছেন। বিএনপি এই উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক জনসভাও করে। তারা দাবি করেছিলেন যে তাকে বাঁচিয়ে তুলতে হলে এখনি বিদেশে পাঠাতে হবে। নতুবা তার কিছু হলে সরকারকে এর দায়ভার নিতে হবে।

এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে অভ্যুত্থান সংগঠিত করারও হুমকি দেয়া হয়। বেশ কিছুদিন এই নিয়ে দেশে রাজনীতি অনেকটাই উত্তপ্ত করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। বিএনপির নেতাকর্মীদের অনেকেই এই ইস্যুতে দীর্ঘদিন পর আবার মাঠে নেমে এসেছিলেন। তাদের কাছে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য অবশ্যই গুরত্ব পায়। সেকারণে তারা দলীয় চেয়ারপারসনের বেঁচে থাকা নিয়ে চরম উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকেই করোনার ভয়াবহতা উপেক্ষা করে তার বিদেশের যাওয়ার অনুমতির জন্য মুক্তির দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন। অনেক নেতাকর্মীই রাস্তায় এভাবে নেমে আসার কারণে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এমনকি দলের মহাসচিবও এ থেকে বাদ যাননি। বিএনপি বিষয়টিকে বেশ সিরিয়াসলি নিয়েছিল। অবশ্য বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে পাঠানোর জন্য আবেদনও করা হয়।

বিএনপির আইনজীবী, নেতাকর্মীরা সরকারের আইনি ব্যাখ্যার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে ব্যপক সমালোচনা ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। কিন্তু সরকারের আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী আইনের ৪০১ ধারার ব্যাখ্যায় সরকারের সর্বোচ্চ করণীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করে যা করেছেন এর বাইরে নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের সুযোগ না থাকার কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা সন্তুষ্ট হতে পারেননি। সরকারের পক্ষ থেকে বিএনপিকে সর্বোচ্চ আদালত এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আইনি উপায়ে খালেদা জিয়ার বিদেশ গমনের অনুমতি প্রদান করা যেতে পারে এমন আভাস দেয়ার পরও বিএনপি সর্বোচ্চ আদালত কিংবা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে যায়নি। বিএনপি সরকারের নির্বাহী ক্ষমতাকেই একমাত্র উপায় হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল, অন্য দুই সুযোগ ব্যবহার করতে চায়নি। সরকারের নির্বাহী আদেশ না পাওয়ার বিষয়টিকে বিএনপি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল।

সরকারের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টির ইস্যু হিসেবে বিষয়টিকে তাদের পক্ষ থেকে দেখা হয়। জনগণের মধ্যে খুব বেশি এনিয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল না। তাই বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিকে আন্দোলন কিংবা গণ-অভ্যুত্থান সংঘটিত করার কৌশল খুব একটা কাজে লাগেনি। তবে নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন পর গাঝাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমেছিল। তাদের ধারণা ছিল কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে এই সূত্রে দেশে একটি সরকারবিরোধী আন্দোলন তারা সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। মাঠপর্যায়ে এমন ধারণাই বিরাজ করছিল।

বিএনপি নেতৃবৃন্দ যেভাবে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির কথা প্রচার করছিল, বাস্তবে অবস্থা তেমনটি হলে দুর্ঘটনা অনেক আগেই ঘটে যেতে পারত। স্বস্তির বিষয়টি হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার তেমনটি ঘটেনি। এখানে পুরো বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছু রহস্য এবং দ্বিধাদ্বন্দ্ব তখনই সচেতন মহলে সৃষ্টি হয়। তার স্বাস্থ্যের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে নিয়মিত কোনো বুলেটিন প্রচার করা হয়নি। সরকারি কোনো মেডিক্যাল বোর্ডও তার স্বাস্থ্য তদারকির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। বিএনপি আগাগোড়াই সরকারি মেডিক্যাল টিমের চিকিৎসা সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণা চালায়, তাদের অনাস্থা ও অবিশ্বাস প্রকাশ করে।

এর বিপরীতে তারা কেবলই তাদের দলীয় ডাক্তারদের নিয়ে গঠিত বোর্ডের প্রতি বিশ্বাসের কথাই জানাচ্ছিলেন। কিন্তু এভারকেয়ার হাসপাতালে দলীয় ডাক্তারদের বোর্ডও কোনো নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রচার করেনি। মাত্র একবার বোর্ডের কয়েকজন সদস্য গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেছিলেন। ফলে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বাইরে প্রচারিত বক্তব্য ছিল দলীয় নেতাদের, এমনকি দলীয় ডাক্তারদেরও নয়। এর ফলে তার স্বাস্থ্যসম্পর্কীয় বক্তব্য নিয়ে ধোঁয়াশা শুরু থেকেই সৃষ্টি হয়। বিএনপির আস্থা-অনাস্থার বিষয়টিও স্বচ্ছ ছিল না, প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। রাষ্ট্রীয় আইন ও নিয়মনিষ্ঠা মানারও প্রবণতা ছিল না। যেহেতু তিনি একজন কারাবন্দি , সুতরাং তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে রাষ্ট্রের মেডিক্যাল টিমের দায়দায়িত্ব অনেক বেশি গুরত্বপূর্ণ। এটি আন্তর্জাতিকভাবেই স্বীকৃত মানদণ্ডের নিয়মে চলে। সুতরাং বাংলাদেশে বেগম খালেদা জিয়ার মতো একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং বড় দলের নেতার ক্ষেত্রে সামান্যতম বিচ্যুতি ঘটবে সেটি কল্পনা করাও বেশ বিস্ময়কর মনে হওয়াই স্বাভাবিক।

কারণ এই পদের একজন অসুস্থ কারাবন্দির স্বাস্থ্যসেবায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মেডিক্যাল টিম সামান্যতম অবহেলা করার পরিণতি যে ভয়াবহ অবস্থা দেশ-বিদেশে সৃষ্টি হতে পারে, সরকারের প্রতি অনাস্থা তৈরি হতে পারে- সেই সম্পর্কে সরকার এবং মেডিক্যাল বোর্ড উভয়ই সর্বোচ্চ সচেতন থাকার কথা। কিন্তু বিএনপি এটিকে প্রথম থেকে অনাস্থায় নেয়ার ফলে দায়িত্ব নিজেদের ঘাড়েই পড়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই দায়িত্ব পালনে বিএনপি কেনো লুকোচুরি করেছিল তা নিয়েই সচেতন মহলে প্রশ্ন জাগে। সেকারণে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য সম্পর্কে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিজেদের তত্ত্বাবধানে রেখে যা কিছু করা হচ্ছিলো, বলা হচ্ছিলো- তা বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার গুরত্বকে ছাপিয়ে রাজনীতি করাকেই দলের মুখ্য উদ্দেশ্য হিসেবে বিবেচিত হতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে দলের নেতৃবৃন্দ দেশব্যাপী দলের প্রচার-প্রচারণাতেই শতভাগ শক্তি নিয়োগ করে।

বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য তাদের কথিত মতে, অবনতিশীল হলে নেতাকর্মীদের অবস্থান থাকত এভারকেয়ার হাসপাতালকে ঘিরে, ঢাকা কিংবা ঢাকার বাইরে জনসভায় নয়। কিন্তু বাস্তবে এভারকেয়ার হাসপাতালের ধারে কাছেও বিএনপির নেতাকর্মীদের আনাগোনা ছিল না। বরং সেখানে তাদের যাওয়া বারণ ছিল। অথচ তিনি জীবনমরণ সন্ধিক্ষণে থাকলে নেতাকর্মীদের আবেগ-উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ইত্যাদি এভারকেয়ার হাসপাতাল এবং গুলশান এলাকা ঘিরে দিনের পর দিন দেখা যেত। কিন্তু সেটি তো ঘটেনি। ফলে তাদের বাইরে গলাফাটা চিৎকার অনেকটাই সরকারবিরোধী আন্দোলনের মানসিক বহিঃপ্রকাশ হিসেবে প্রতিভাত হয়। এর ফলে এভারকেয়ার হাসপাতালে শয্যাশায়ী দলের চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যসম্পর্কীয় বক্তব্য এবং মাঠ ও মিডিয়ায় বিএনপি নেতৃবৃন্দের বক্তব্যের মধ্যে বিস্তর আন্তরিকতার ফারাক লক্ষ করা যায়। এর ফলে নানা সন্দেহ বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য, বিদেশে চিকিৎসা এবং দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্য নিয়ে দেখা যায়।

একারণে আন্দোলন সংঘটিত হওয়ার মতো বিএনপির জন্য স্বস্তিদায়ক কিংবা সরকারের জন্য অস্বস্তিদায়ক কোনো ঘটনা ঘটেনি। এরই মধ্যে বেগম খালেদা জিয়া সিসিউ থেকে কেবিনে স্থানান্তরিত করার পর বেগম জিয়ার মুক্তি কিংবা স্বাস্থ্য নিয়ে আর কোনো বক্তব্য দেশের অভ্যন্তরে বিএনপি নেতৃবৃন্দের মুখ থেকে শোনা যায়নি। ততদিনে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিদেশে পাকিস্তানি এবং তাদের অন্যান্য বন্ধুপ্রতিমদের সহযোগিতায় বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি এবং সরকারের ‘অমানবিক’ আচরণ তুলে ধরার উদ্দেশে বিদেশে প্রচার, প্রচারণা ও প্রভাব বিস্তারে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করতে থাকে। সেটিও দেশে প্রচারিত হওয়ার পর বিএনপির প্রতি সচেতন মহলের সমালোচনাই নতুন করে দেখা দেয়।

সামগ্রিকভাবে বেগম খালেদা জিয়ার কারাগারে প্রেরণের পর থেকে অসুস্থতা, চিকিৎসা এবং দলীয় রাজনীতির নেতৃবৃন্দের বক্তব্য, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে নানা ধরনের ধারণা অনুমান করতে রাজনীতি সচেতন মহলকে সুযোগ করে দিয়েছে। সর্বশেষ ২০২০ সালের মার্চে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্বাহী আদেশে বেগম খালেদা জিয়াকে ঘরে থেকে চিকিৎসা নেয়ার যে ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটি এখন দু বছর পূর্ণ হতে চলছে।

বিএনপির ভেতর থেকে চেষ্টা করা হয় তাকে যেন আর কারাগারে ফিরে যেতে না হয়। সেজন্য যেকোনো উপায়ে চিকিৎসার নামে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়া। এর জন্য সরকারের ওপর যত ধরনের চাপ সৃষ্টি করা যায়, বিএনপি সেটি এ পর্যন্ত করেছে। তা করার জন্য বিএনপি নিজেদের মতো হিসাব-নিকাশ করেছিল। কিন্তু তাদের কথিত মতে, তিনি জীবনমরণ সন্ধিক্ষণের অবস্থায় থাকলে সেটি প্রকাশের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি বিশ্বাস এবং রাষ্ট্রপতির প্রতি আস্থা স্থাপন করেও আদায় করা সম্ভব হতে পারত। কিন্তু সেখানে অস্বচ্ছতা ও অস্পষ্টতা থাকায় বিএনপির উদ্দেশ্য সফল হয়নি।

সরকার পক্ষ হয়তো নিশ্চিত ছিল যে, বিএনপি সরকারকে চাপে ফেলে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর, তাতে তার কারাভোগের বিষয়টি অন্তত আর ফিরে আসবে না। এ নিয়েই বিএনপির রাজনৈতিক নাটকীয়তা নানাভাবে মঞ্চস্থ হয়। বিএনপি রাজনীতির এই নাটক মঞ্চায়নে অস্পষ্টতার কারণেই আপাতত সফল হতে পারেনি। এটি বিএনপির জন্য কতটা স্বস্তিদায়ক হয়েছে তা বলা মুশকিল। তবে বেগম খালেদা জিয়া যে বাসায় ফিরে গেছেন এটি সরকারের জন্য বেশি স্বস্তিদায়ক। আমরা আশা করব বেগম খালেদা জিয়া যেন সুস্থ থাকেন, সেটি সবার জন্যই স্বস্তিদায়ক হবে।

লেখক: মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী – গবেষক, অধ্যাপক।


সর্বশেষ - রাজনীতি