1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

কেরুর নতুন রেকর্ড, আয় বেড়েছে ২১ শতাংশ

বিশেষ প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
সোমবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩

দেশে মদ বিক্রিতে রেকর্ড গড়েছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ)। মদ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের (২০২২) জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা আয় করেছে। আগের বছরের তুলনায় ২১ শতাংশ আয় বেড়েছে। মদ বিক্রিতে এটিই কেরুর সর্বোচ্চ আয়ের রেকর্ড।

বিদেশি মদ আমদানিতে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞার ফলে দেশি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ও বিক্রি দুটোই বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, শুল্ক ফাঁকি রোধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২১ সালে মদ আমদানিতে নজরদারি বাড়ায়। ফলে বৈধ পথে মদ আমদানি কমেছে।

এতে অনুমোদিত বারগুলোতে বিদেশি মদের সংকট দেখা দিয়েছে। তারা এই সংকট মোকাবিলায় দেশি কোম্পানির মদ কিনেতে বাধ্য হয়েছে। এ কারণে মদ বিক্রি ও আয় দুটোই বেড়েছে।

কোম্পানির তথ্য মতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মদ বিক্রিতে আয় হয়েছে ২৩২ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। ২০২১-২২ অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আয় হয়েছিল ১৯২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ৪০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বেশি আয় হয়েছে। শতাংশের হিসাবে বেড়েছে ২১ শতাংশ।

এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে সর্বোচ্চ মদ বিক্রির রেকর্ড ছিল। সেই অর্থবছরে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি বাংলাদেশের মদ বিক্রিতে আয় হয়েছে ৪২৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। ওই বছর রাজস্ব আদায় ও কোম্পানি পরিচালনাসহ সব খরচ বাদে কোম্পানির প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ৪৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

তার আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে মদ বিক্রিতে আয় হয়েছিল ৩১৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে প্রকৃত মুনাফা হয়েছিল ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে দ্বিগুণের বেশি মুনাফা বেড়েছে প্রতিষ্ঠানটির। বাৎসরিক মুনাফার দিক থেকে এটি ছিল ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড। মুনাফা বাড়ায় এ খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও বেড়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেরুর ফাইন্যান্সের মহাব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই বছর ধরে মদের উৎপাদন ও চাহিদা বেড়েছে। আগে সাধারণত স্বাভাবিক সময়ে কেরু নিজস্ব ও আশপাশের চিনিকল দিয়ে কাঁচামাল সংগ্রহ করত। কিন্তু বর্তমানে মদের চাহিদা মেটাতে কেরু বিএসএফআইসির অধীন সব চিনিকল থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করছে।

এভাবে চাহিদা বাড়তে থাকলে মদের আরও কাঁচামাল দরকার হবে। এ জন্য কৃষকদের উচ্চ উৎপাদনশীল আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের (বিএসএফআইসি) আওতায় পরিচালিত ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বাংলাদেশ) লিমিটেড। দেশে চিনির গুড় থেকে তৈরি অ্যালকোহল উৎপাদনকারী একমাত্র লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। এটি চুয়াডাঙ্গা জেলায় অবস্থিত। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় তিনটি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে।

আগামীতে কক্সবাজার ও পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায় আরও দুটি বিক্রয়কেন্দ্র এবং আরও তিনটি গুদাম স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির।


সর্বশেষ - রাজনীতি