চীনের উহান শহর। ‘চীনের শিকাগো’ নামেও ডাকা হয় মধ্য চীনের সবচেয়ে জনবহুল এ শহরকে।
নিন্দুকরা বলেন, এটিই করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর মাতৃভূমি। এসব নিয়ে নানা বিতর্ক থাকলেও, আগামী বিশ্বের চেহারা কেমন হতে পারে তা দেখতে হলে ফিরতে হবে এ শহরেই। এই শহরেই আছে এক ‘রোবট রেস্টুরেণ্ট’। যেখানে খাবার রান্না করে রোবট শেফ। খাবার পরিবেশনও করে রোবট!
ঠিক যত তাপমাত্রায় খাবার রাখা দরকার সেটিও নিয়ন্ত্রণ করে রোবট।
এই রেস্টুরেন্টের মালিক লি সিয়াংহুই বলেন, ক্যাটারিং শিল্পের ভবিষ্যৎ হলো এই স্বয়ংক্রিয়করণ বা অটোমেশন। এটা শ্রমিক খরচ কমিয়ে দেয়। ঐতিহ্যবাহী রেস্টুরেন্টগুলোর দক্ষতাও বাড়াচ্ছে এই রোবট ব্যবস্থা।
লি’র মতে তাদের রোবটটি প্রায় দুই হাজার রেসিপি তৈরি করতে পারে এবং সেগুলো খেতেও অনেক ভালো।
এর ফলে অনেক মানুষ রাঁধুনি চাকরি হারাচ্ছেন। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, আগামীতে বিশ্বজুড়ে বাড়বে রোবট রাঁধুনিদের দাপট। বেকার হবে রন্ধন শিল্প সংশ্লিষ্ট অনেকে।
লি আরও জানান এই পদ্ধতিতে খাবারের মান একইরকমভাবে ধরে রাখা সম্ভব। চীনের রোবট শেফ ও রোবট পরিবেশকের রেস্টুরেন্টের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। রোবট শিল্প চীনে দিনকে দিন বিকশিত হচ্ছে।
এ রেস্টুরেন্টে খেতে হলে, আগে একটি কিউআর কোড স্ক্যান করে নিতে হবে এবং তালিকা থেকে খাবার নির্বাচন করতে হবে। অর্ডারের কয়েক মিনিটের মধ্যেই রান্না শুরু করবে রোবট এবং রান্না শেষে গরম গরম খাবার পরিবেশনও করবে রোবট।
খাবারের দামেও খুব একটা তফাৎ থাকছে না। অনেকক্ষেত্রে আরও কম দামেই খাবার পাওয়া যাচ্ছে এসব রোবট রেস্টুরেন্টে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২১ সালে রোবট মার্কেটের মূল্য ছিল ৫৮ বিলিয়ন ইউয়ান। ২০২৭ সাল নাগাদ রোবট শিল্পের মূল্য দাঁড়াবে ২৯১ বিলিয়ন ইউয়ান। চায়না ডেইলি।