1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

ঢাবির প্রথম ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী অংকিতা

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএতে ভর্তি হয়েছেন ট্রান্সজেন্ডার নারী অঙ্কিতা ইসলাম। অঙ্কিতাই প্রথম ট্রান্সজেন্ডার যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষায়িত এই কোর্সে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি।

অঙ্কিতার অধ্যয়নের পথ মসৃণ করে দিতে তার পাশে দাঁড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দুই বছরের বাণিজ্যিক এই কোর্স শেষ করতে তাকে কোনো অর্থ খরচ করতে হবে না।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অদম্য ইচ্ছা পূরণের পথটি সহজ ছিল না অঙ্কিতার। দৃঢ় লড়াইয়ে তার পাশে ছায়ার মতো থেকেছেন ট্রান্সজেন্ডার অ্যাক্টিভিস্ট হোচিমিন ইসলাম।

অঙ্কিতার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের নান্দুরিয়ার। করোটিয়ায় সরকারি সা’দত কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক করেছেন।

অঙ্কিতা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন ছিল আমার। তবে ইন্টার পাশ করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে ভয় পেয়েছি। এত বড় পরিবেশে মানুষের সঙ্গে মেশা, বাড়ি ছেড়ে থাকার ভয়। এছাড়া আর্থিক সমস্যার কারণেও তখন পড়ার চিন্তা বাদ দিতে হয়েছে।

‘এরপর স্নাতক শেষে ব্র্যাকে চাকরি হওয়ার পর ভাবলাম যেহেতু আমি এইচআরএ চাকরি করছি এই রিলেটেড একটা বিষয়ে মাস্টার্স করি। এরই মাঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএতে ভর্তির সার্কুলার হয়। তখন অ্যাপ্লাই করার আগেও নিজের মধ্যে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। চান্স পেলেও নেবে কিনা- তা নিয়ে অনেক ভেবেছি।’

অঙ্কিতা বলেন, ‘পরীক্ষায় ১৮৩তম মেধা তালিকায় আসি। এরপর সাক্ষাৎকারে ডাকা হলো, সাবজেক্ট চয়েস দিতে হলো। তখন ম্যানেজমেন্ট চয়েস দিলাম, সেটা পেলামও। তবে যখন খরচের বিষয়টি নিয়ে বসলাম দেখলাম অনেকে টাকা লাগবে, যেটা আমার পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়।

‘এদিকে ভর্তির তারিখ শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই কিছু টাকা ধার করে ভর্তি ফিটা দিই। ভর্তি হওয়ার পর কোর্স ফি দেয়ার তারিখ এগিয়ে আসে, আমার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। আমি হোচিমিন আপুকে বিষয়টি জানাই। আপু অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন। পরে দুজনে মিলে গত ১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করলাম।

‘স্যার আমার জেন্ডার, আমার অর্থনৈতিক অবস্থাসহ বিস্তারিত শুনে সব মিলিয়ে আমার জন্য কোর্স ফি ফ্রি করে দেয়ার ব্যবস্থা নিলেন, সেটা প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। তিনি ডিন স্যারকে ডেকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বললেন।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে অঙ্কিতা বলেন, ‘‘স্যার বললেন, ‘আমি একজন ট্রান্সজেন্ডারকে যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগটা দিতে পারি এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যও গর্বের।’’


সর্বশেষ - রাজনীতি