1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

বাণিজ্যমেলায় যাবেন যেভাবে 

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০২৩

নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই শুরু হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। গতবারের ধারাবাহিকতায় এবারও মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টারে।

এর আগের বছরগুলোতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে আয়োজন হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা তুলনামূলক সহজ ছিল। এবছর মূল শহর থেকে কিছুটা দূরে হওয়ায় অনেকের মনেই প্রশ্ন কীভাবে যাবেন পূর্বাচলের মেলায়। শুরুর আগেই সেই সমস্যার সমাধান করেছে মেলা কর্তৃপক্ষ।

ক্রেতা-দর্শনার্থীদের যাতায়াতের জন্য দেওয়া হয়েছে বিআরটিসির ৭০টি বিশেষ বাস। সেই বাসে করেই যেতে পারবেন এবারের মেলায়। চাইলে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়েও যাওয়া যাবে। পার্কিংয়ের ঝামেলায় পড়তে হবে না। কারণ যথেষ্ট জায়গা আছে পার্কিংয়ের জন্য। মেলায় প্রায় এক হাজার গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে।

মেলায় ব্যক্তিগত যানবাহন ছাড়া যেতে চাইলে আপনাকে প্রথমে যেতে হবে কুড়িল বিশ্বরোড বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে মেলা প্রাঙ্গণ বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের দূরত্ব প্রায় ১৬ কিলোমিটার। যানজট না থাকলে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলায় পৌঁছাতে সময় লাগতে পারে প্রায় ১ ঘন্টা থেকে সোয়া ১ ঘণ্টা।

মেলায় দর্শনার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে প্রতিদিন ৭০টি বিআরটিসি বাস ও অন্যান্য যাত্রীবাহী বাস চলাচল করবে। বিআরটিসি বাসে ভাড়া জনপ্রতি ৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর নামতে হবে কাঞ্চন ব্রিজে। সেখান থেকে ১০ টাকা রিকশা ভাড়া দিয়ে যেতে পারবেন মেলা প্রাঙ্গণে।

প্রতিবছরের মতো এবারের মেলাতেও দর্শনার্থীদের প্রবেশের উপর ফি ধরা হয়েছে। নির্ধারিত টাকা দিয়ে টিকিট কেটে প্রবেশ করতে হবে মেলায়। বড়দের জন্য প্রবেশ ফি রাখা হচ্ছে জনপ্রতি ৪০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা।

তবে মেলার টিকিট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড়। ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা ও অন্যান্য দিনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বাণিজ্যমেলা।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে ঢাকার অদূরে পূর্বাচল উপশহরের ৪ নম্বর সেক্টরে ৩২ একর জায়গা নিয়ে একটি এক্সিবিশন সেন্টার তৈরির ঘোষণা দেওয়া হয়। এরপর চীন ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়নে বাণিজ্যমেলা ও প্রদর্শনীয় এই স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। যা বর্তমানে বাংলাদেশ-চীন এক্সিবিশন সেন্টার নামে পরিচিত।

এখানে প্রায় ৩৩ হাজার বর্গমিটারের প্রদর্শনী স্পেস রয়েছে। এক্সিবিশন হলে মোট বুথ আছে ৮০০টি। যার প্রতিটির আয়তন ৮.৬৭ বর্গমিটার। এ ছাড়াও বাইরে ৬ একর খোলা জায়গা আছে। যেখানে অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরও আছে ৪৭৩ আসনবিশিষ্ট একটি মাল্টি-ফাংশনাল হল, ৫০ আসনবিশিষ্ট ১টি কনফারেন্স রুম, ৬টি সভাকক্ষ, ৫০০ আসনের ক্যাফেটেরিয়া, শিশুদের খেলার জায়গা, নামাজের স্থান, ১৩৯টি টয়লেট, সিসিটিভি কন্ট্রোল রুম ইত্যাদির সুবিধা।


সর্বশেষ - রাজনীতি