২৬শে মার্চ স্বাধীনতা দিবসের আগেই পাকিস্তান ক্ষমা চাইতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্কের ঘোলাজল ধীরে হলেও পরিষ্কার হতে শুরু করেছে। ইসলামাবাদ প্রায় একবছর ধরে নানাভাবে চেষ্টা করছে যেন বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ‘স্বাভাবিক’ হয়। তবে পাকিস্তানের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের মনোভাব এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে বলে ক্রমেই সম্পর্কের মেলবন্ধন দূরবর্তী একটি ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার বিষয়ে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চাওয়া প্রশ্নে বাংলাদেশের কঠোর মনোভাবের বিপরীতে পাকিস্তান ‘সব কিছু সহজ করার’ ঘোষণা দিয়েছে। এরই মাধ্যমে কূটনৈতিক পরিমণ্ডলে আনুষ্ঠানিক ‘ক্ষমা’ চাওয়ার কথা ছড়িয়েছে।
বিগত ২ মাসে ৩ দফা সংলাপে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বরফ কিছুটা গলেছে। মনে করা হচ্ছে, সে কারণেই ডিসেম্বর মাসেও পাকিস্তান দূত ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী সরকার প্রধানের দেখা পেয়েছেন। এসময় মন্ত্রী-এমপি, আমলা ও ব্যবসায়ীদের দেখা না পাওয়ার বিষয়ে পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান আহমেদ সিদ্দিকী সরকার প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পরে নতুন বছরের সূচনাতেই পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ হয় পাকিস্তানের হাইকমিশনারের। ওই সাক্ষাতে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম স্পষ্ট করেই বলেন, সম্পর্ক বাড়াতে চাইলে পাকিস্তানকে আগে ক্ষমা চাইতে হবে।
নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া প্রশ্নে বাংলাদেশের কঠোর মনোভাবের বিপরীতে পাকিস্তানের ‘সব কিছু সহজ করার’ ঘোষণাকে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
একটি জাতীয় দৈনিকের বরাতে জানা যায়, কূটনৈতিক অঙ্গনে চাউর হয়েছে- স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর উজ্জ্বল মুহূর্তে বাংলাদেশকে নিয়ে পাকিস্তানের পরিবর্তিত নেতৃত্ব এবং দেশটির নতুন প্রজন্মের যে উপলব্ধি তার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ নাকি আগামী ২৬ মার্চের আগেই ঘটতে যাচ্ছে।
তবে ’৭১ প্রশ্নে পাকিস্তানের উপলদ্ধি প্রসঙ্গে ঢাকা আগাম কোনো মন্তব্য করার ঝুঁকি নিতে চায়নি।