গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে সন্ত্রাসী ও বহিরাগতদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
নির্বাচন কমিশনের পরিপত্র অনুযায়ী কোনো নির্বাচনি এলাকার মধ্যে বহিরাগত কেউ থাকতে পারবেন না। পুলিশের অভিযান শুরুর আগেই সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত বিএনপি জামাতের স্থানীয় পর্যায়ের অনেক নেতাকর্মী রাজধানী ছেড়ে চলে গেছেন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মুহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, যৌক্তিক কারণ থাকলে ঢাকা শহরে বাইরের মানুষও থাকতে পারবেন । তিনি বলেন, ‘আতঙ্ক ছড়ানো আমাদের উদ্দেশ্যে নয়। শুধু অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেই অভিযান চলছে।’
জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাস-নাশকতার ছক কষছে বিএনপি-জামায়াত। নির্বাচন বিতর্কিত করাই এর উদ্দেশ্য। এই নির্বাচনে জামায়াত-শিবিরের ভূমিকা রহস্যজনক বলে মনে করে গোয়েন্দা সংস্থা। নির্বাচন ঘিরে বেড়ে গেছে ভাড়া করা সন্ত্রাসী, জঙ্গিদের আনাগোনা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন জমে ওঠায় বিতর্কিত নির্দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে উত্তেজনার তাপ বাড়ছে। নির্দলীয় বিতর্কিত প্রার্থীদের পক্ষে সন্ত্রাসী-জঙ্গিদের ভাড়া করে এনে সহিংসতার জন্ম দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে গোয়েন্দা সংস্থা ধারণা করছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি থেকে মনোনয়ন পাননি এমন নির্দলীয় বিতর্কিত প্রার্থীদের পক্ষে সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ার তথ্য আছে তাদের কাছে।
তৃণমূলের গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য আছে যে হত্যা, সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন দাগি আসামিরা এরই মধ্যে ঢাকায় আছে। তারা বিদ্রোহী প্রার্থীদের হয়ে মিছিলসহ নানা আধিপত্য বিস্তার করছে। তারা ঢাকায় কোথায় অবস্থান করছেন সেটাও গোয়েন্দাদের কাছে অনেকে বলে দিয়েছেন। মতিঝিল, খিলগাঁও, ঢাকা দক্ষিণের কয়েকটি ওয়ার্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় বহিরাগতরা মিছিলে ঢুকেছে। যশোর, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও গাজীপুর থেকে অনেক ক্যাডার ঢাকায় ঢুকেছে। অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে অনেক অস্ত্র এখন পাড়া-মহল্লার সন্ত্রাসীদের হাতে এসেছে।