গত কয়েক বছরে সারাবিশ্বে অনলাইন মিডিয়ার কলেবর এত বড় হয়েছে যে প্রিন্ট মিডিয়ায় ভয়াবহ ধস নেমেছে। বিশ্বের সকল পত্রিকা প্রিন্ট ভার্সনের পাশাপাশি অনলাইন ভার্সন করেছে, আবার অনেকে প্রিন্ট ভার্সনই বন্ধ করে দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এর কিছু ব্যতিক্রম রয়েছে। বাংলাদেশে প্রিন্ট পত্রিকার প্রচার সংখ্যা বেড়েছে এবং আগের চেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ প্রিন্ট পত্রিকা পড়েন।
সম্প্রতি একটি পর্যবেক্ষক সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, নতুন বছরে গ্রাহক সংখ্যায় চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন এসেছে।
ডিএফপির তথ্য মোতাবেক শীর্ষ পত্রিকাগুলোর অন্যতম প্রথম আলোর প্রচার সংখ্যা ৫ লাখ ১ হাজার ৮০০ কপি। তবে প্রকৃতপক্ষে এর প্রচার সংখ্যা ডিসেম্বর, ২০১৮ এর হিসাব অনুসারে ৪ লাখ ৭০ হাজার। এক মাসের কম সময়ের ব্যবধানে ২৫ জানুয়ারি, ২০১৯ এ প্রথম আলোর সার্কুলেশন ৪ লাখের নীচে নেমে এসেছে। কমেছে যুগান্তরের প্রচার। প্রচার কমার ক্ষেত্রে মনে করা হতে পারে যে পাঠকরা অনলাইন পোর্টালের দিকে ঝুকেছেন। কিন্তু এক্ষেত্রে এই কারণ প্রযোজ্য নয় বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে কারণ প্রচার সংখ্যা বেড়েছে জনকণ্ঠের।
জনকণ্ঠের প্রকৃত প্রচার সংখ্যা জনকণ্ঠ ২ লাখ ১০ হাজার। এ ২৫ ডিসেম্বর এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৭০ হাজারে। বেড়েছে বাংলাদেশ প্রতিদিন ও কালের কণ্ঠের প্রচারও। তাই প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক যে প্রথম আলোর প্রচার সংখ্যা কমে যাওয়ার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে!
গণমাধ্যম পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রথম আলো ও যুগান্তরের ভূমিকা গত কয়েক মাসে দৈনিক দিনকাল বা নয়াদিগন্তের মত বিতর্কিত পত্রিকার সমতূল্য ছিল। অনলাইন পোর্টালে উদ্দেশ্যমূলক সংবাদ প্রচার, রাজনৈতিক বিবেচনায় একই সংবাদ ভিন্ন ভিন্ন শিরোনাম দিয়ে প্রচার, সংবাদের পরিবর্তন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত শিরোনাম ইত্যাদি কারণে প্রথম আলো ও যুগান্তরের প্রতি পাঠকদের নেতিবাচক ধারণা তৈরি হয়েছে।