1. অন্যরকম
  2. অপরাধ বার্তা
  3. অভিমত
  4. আন্তর্জাতিক সংবাদ
  5. ইতিহাস
  6. এডিটরস' পিক
  7. খেলাধুলা
  8. জাতীয় সংবাদ
  9. টেকসই উন্নয়ন
  10. তথ্য প্রযুক্তি
  11. নির্বাচন বার্তা
  12. প্রতিবেদন
  13. প্রবাস বার্তা
  14. ফিচার
  15. বাণিজ্য ও অর্থনীতি

২০৩০ সালের মধ্যে প্রস্তুত হবে আরও তিন মেট্রোলাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক : ইবার্তা টুয়েন্টিফোর ডটকম
মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২২

চলতি ডিসেম্বর মাসের যেকোনো দিন উদ্বোধন হবে মেট্রোরেল। রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু করতে সব ধরনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন, চালু হতে যাওয়া মেট্রোরেল পথের অবকাঠামো নির্মাণে কাজ শেষ হয়েছে অনেক আগে। এখন প্রতিদিনই লাইনে চলছে মেট্রো ট্রেনের ট্রায়াল।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছরের যেকোনো সময় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোপথও যাত্রী চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে। আর ২০৩০ সালের মধ্যে রাজধানীর বুকে প্রস্তুত হবে এমন আরও তিনটি মেট্রোরেল পথ।

যানজট কমিয়ে মানুষের যাতায়াত সহজ ও দ্রুত করার লক্ষ্যে বিশ্বের উন্নত দেশের মতো রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগে ২০১২ সালে সায় দেয় সরকার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী মোট ৬ ধাপে মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। সে পরিকল্পনার প্রথম ধাপে গঠন করা হয় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। উড়াল ও পাতাল রেলপথ মিলিয়ে ৬ ধাপে রয়েছে, এমআরটি লাইন-৬, এমআরটি লাইন-১, এমআরটি লাইন-৫ এ দুই রুট রয়েছে নর্দান ও সাউদার্ন, এমআরটি লাইন-২, এমআরটি লাইন-৪। এরমধ্যে এমআরটি লাইন-৬ দিয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, এমআরটি লাইন-৬, ১ ও ৫ এই তিন লাইন যথাক্রমে ২০২৫ সালের জুন, ২০২৬ সালের ডিসেম্বর এবং ২০২৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে এমআরটি লাইন-১ ও ৫ এর কাজ শেষ হতে ২০৩০ সাল লেগে যাবে।

উড়াল-পাতাল মিলিয়ে এমআরটি লাইন-১ এর আওতায় নির্মাণ হবে প্রায় ৩১ কিলোমিটার রেলপথ। ২০১৯ সালে এমআরটি লাইন-১ এর অনুমোদন দেওয়া হয়। লাইনটি বিমানবন্দর থেকে নতুনবাজার, কমলাপুর হয়ে পূর্বাচল পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এটি বিমানবন্দর ও পূর্বাচল এই দুই ভাগে বিভক্ত। একাংশে বিমাবন্দর অংশে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত। এই অংশে মোট ২০ কিলোমিটার পথে পাতালে স্টেশন হবে ১২টি। বিমানবন্দর রুটই হবে বাংলাদেশের প্রথম পাতাল রেল।

আর পূর্বাচল অংশে ১১ কিলোমিটার রুট হবে নতুনবাজার থেকে পিতলগঞ্জ ডিপো। এই অংশের পুরোটাই উড়াল এখানে স্টেশন হবে নয়টি। এরমধ্যে সাতটি স্টেশন উড়াল পথে আর বাকি দু’টি নদ্দা ও নতুনবাজার এলাকায় পাতাল স্টেশনের সঙ্গে মিলে থাকবে। নতুনবাজার স্টেশনে এমআরটি লাইন-৫ নর্দান রুটের সঙ্গে আন্তঃলাইন সংযোগ থাকবে। নদ্দা ও নতুন বাজার স্টেশন আন্তঃসংযোগ রুট ব্যবহার করে বিমানবন্দর রুট থেকে পূর্বাচলে যাওয়া যাবে।

এমআরটি লাইন-১ এর স্টাডি, সার্ভে, ডিটেইল ডিজাইনের কাজ শেষ হয়েছে। এই অংশের ডিপো নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ হয়েছে কয়েকটি স্টেশনের জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান। চলতি বছরের অক্টোবর এ কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগের জন্য চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ লাইনে প্রতিদিন প্রায় ১৯ লাখ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। লাইনের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র ২৪ মিনিট। যা এখন লাগে কমপক্ষে দুই ঘণ্টা। কিন্তু প্রথম প্রকল্পের মতো এখানেও কাজ শুরু করতে বেশ কয়েক বছর দেরি হয়েছে। এখন ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে লাইনটির নির্মাণ কাজ শেষ করার উদ্দেশ্যে ২০২২ সালে শুরু করার কথা থাকলেও বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে আবার পিছিয়ে গেছে।

২০২৮ সালের মধ্যে রাজধানীর সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত উড়াল পাতাল মিলিয়ে মোট ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল পথ নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এরমধ্যে ১৩.৫০ কিলোমিটার হবে উড়াল এবং ৭ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ হবে পাতাল। মোট ১৪টি স্টেশনের ৯টি উড়াল পথে আর ৫টি স্টেশন থাকবে পাতাল পথে। এমআরটি লাইন ৫ নর্দান রুট নামে পরিচিত এই অংশের সার্ভে কাজ চলছে এখন।

লাইনটি ২০২৮ সালে নির্মাণকাজ শেষ করার কথা থাকলেও ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা বলছেন, এই লাইন ২০৩০ সালের আগে শেষ হচ্ছে না। ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক জানিয়েছেন, নানা কারণে প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় দেরি হওয়ায় কাজ শুরু করতে বিলম্ব হচ্ছে। তাই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে একটু বেশি সময় লাগতে পারে।

২০৩০ সালের মধ্যে এমআরটি লাইন-৬,১ ও ৫ যদি নির্মাণ শেষ করা যায় তাহলেও রাজধানীর যানজট অনেকাংশে কমে আসবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।


সর্বশেষ - রাজনীতি