সামরিক বাহিনীর জন্য বা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা খাতে যুক্তরাষ্ট্রের অনুদানের ব্যাপারে ওয়াশিংটনের কোনও শর্তযুক্ত চুক্তিতে সই করবে না ঢাকা। তবে দেশের আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে যুক্তরাষ্ট্রের এ সম্পর্কিত শর্তগুলোয় সম্মতি জানাবে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ ইস্যুতে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্র সচিবের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে স্বরাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অতীতের ধারাবাহিকতায় আগামী দিনেও বাংলাদেশের উন্নয়ন অংশীদার যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক অনুদান অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যৎ অনুদান নিশ্চিত করতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তির প্রস্তাব করেছে। এটি কান্ট্রি-স্পেসিফিক বা এককভাবে বাংলাদেশের জন্য কোনও চুক্তি নয়। ওই চুক্তির যেসব শর্ত রয়েছে, তা বাংলাদেশের মৌলিক অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়।
বাংলাদেশ ২০১৫ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রায় ৬৫০ কোটি টাকার অনুদান পেয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, আগের অনুদানের কোনও হিসাব দিতে হবে না। তবে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে এ হিসাব দিতে হবে।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব জানান, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের আইনে পরিবর্তন এনেছে। তাতে বিভিন্ন দেশের কাছে তাদের দেয়া সামরিক সহায়তার হিসাব দিতে হবে ওয়াশিংটনকে। বিষয়টি জানিয়ে চলতি মাসের শুরুতে বিভিন্ন দেশের সম্মতি চায় যুক্তরাষ্ট্র। ৩১ ডিসেম্বর মধ্যে এর জবাব দেয়ার কথা।
তিনি জানান, বাংলাদেশ সম্মত, তবে কীভাবে এই হিসাব দেয়া হবে সেই প্রক্রিয়া নিয়ে কাজ চলছে। এর সঙ্গে র্যাবের ওপর সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞার কোনও সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের শর্তে সম্মত হলেও, বাংলাদেশের কোনও বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিলে, সে বিষয়ে আগাম আলোচনা এবং অভিযোগের উৎস জানতে চাইবে ঢাকা। সম্মতি জানানোর সময়ই এই পাল্টা শর্ত উপস্থাপন করা হবে।