পার্ক থেকে স্যানিটারি ল্যাট্রিন কি নেই এই গ্রামে। শহরের সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে সুনামগঞ্জের চান্দারগাঁও মডেল ভিলেজে। এখানকার দরিদ্র ভূমিহীন মৎস্যজীবীরা এসব সুযোগ সুবিধা পেয়ে খুশি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন ‘গ্রাম হবে শহর’ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই চান্দারগাঁ গ্রামকে মডেল ভিলেজ হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে।
খরচার হাওড় ও সোনাবিল নদীর তীরে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত চান্দারগাঁও মডেল ভিলেজ। এই ভিলেজ গড়ে তোলা কাজ শেষ, এখন চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। নারী-পুরুষ সবাই মিলে ঝাড় দিয়ে পরিষ্কার করছেন মডেল ভিলেজের আঙ্গিনা, খেলার মাঠ, দোলনাসহ শিশুদের খেলাধুলার জন্য স্থাপন করা বিভিন্ন রাইডের আশপাশ। কয়েক বছর আগে যেখানে ছিল গভীর ডোবা এলাকায় মাটি ভরাট করে গড়ে তোলা হয়েছে মডেল ভিলেজ।
কয়েক বছর আগেও এ গ্রামে কুঁড়েঘর ছাড়া আর কিছু ছিল না। এখন গ্রামে রয়েছে পার্ক, ওয়াচ টাওয়ার, দোলনা, কমিউনিটি সেন্টার, আইটি সেন্টার, ব্লকের সড়ক, বর্জ্য সংরক্ষণাগার, বন্ধুচুলা, ওয়াশবল্ক, সোলার স্ট্রিট লাইট, স্বাস্থ্য সম্মত স্যানিটারি ল্যাট্রিন, ড্রেনেজ সিস্টেম, পানীয় জলের জন্য সাব মারসিবল পাম্পসহ নানান আধুনিক সুযোগ সুবিধা।
চান্দারগাঁ গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, আগের চেয়ে তাদের গ্রাম অনেক উন্নত হয়েছে। গ্রামীণ জীবনে লেগেছে শহুরে ছোঁয়া। এখন হাত বাড়ালেই সব কিছু পাওয়া যায়। কি নেই এই গ্রামে। পার্ক থেকে সুপেয় পানি সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
হাওর অঞ্চলের অবকাঠামো ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প হিলিপের জেলা সমন্বয়ক মিজানুর রহমান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গ্রাম হবে শহর’ এ ধারণা থেকে অনগ্রসর অতি দরিদ্র চান্দারগাঁও মডেল ভিলেজ তৈরি করা হয়েছে। আরও কয়েকটি গ্রামের মতো এই গ্রামকে শহরে পরিণত করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার (গ্রাম হবে শহর) পূরণের লক্ষ্যেই। এই গ্রামে শহরের সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
হাওর অঞ্চলের অবকাঠামো ও জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালে শুরু হয় চান্দারগাঁও মডেল ভিলেজ গ্রামের কাজ। লাল সবুজ রঙের বসতঘর, কমিউনিটি সেন্টার আইটি সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থাপনায় সমৃদ্ধ এই গ্রাম। আধা কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩০ মিটার প্রস্তের চান্দারগাঁও গ্রাম এখন ছোট শহরে রূপান্তরিত হয়েছে। এক সময়ের অন্ধকার আচ্ছন্ন গ্রামে রাতের বেলায় আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে স্ট্রিট লাইট।
গ্রামের ৫০ টি পরিবার পেয়েছে মুজিব পল্লীর ঘর সব মিলিয়ে ১০০ টি পরিবারের ৬০০ মানুষ বাস করছে এ গ্রামে।