যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ড্র করে শুরু হয়েছিল ওয়েলসের বিশ্বকাপ পথচলা। পরের ম্যাচে তারা হেরে বসে ইরানের কাছে। টিকে থাকার লড়াইয়ে কঠিন সমীকরণে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় তারা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় কাতারের আহমদ বিন আলী স্টেডিয়ামে হ্যারি কেন, র্যাশফোর্ডদের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে ওয়েলস। জোড়া গোল করেছেন মার্কাস র্যাশফোর্ড। আরেকটি গোল দিয়েছেন ফিল ফোডেন। এ জয়ে বি গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।
ম্যাচের শুরু থেকেই ওয়েলসকে বেশ চাপে রাখে ইংলিশরা। প্রথমার্ধের প্রায় পুরো সময়ে চলেছে ইংলিশ আধিপত্য। প্রথমার্ধে ১০ মিনিটে হ্যারি কেনের বানানো বলে শট নিয়েছিলেন স্ট্রাইকার মার্কাস র্যাশফোর্ড। তবে ত্রাণকর্তার ভূমিকা রেখেছেন ড্যানি ওয়ার্ড। ১৯ মিনিটেও দলকে গোল হজম করা থেকে বাঁচান তিনি। ২৪ মিনিটেও দেখা যায় তার দুর্দান্ত সেভ।
৩৫ মিনিটে ডি বক্সে বল পেয়েছিলেন ফোডেন। প্রয়োজন ছিল একটি নিখুঁত শটের। বাঁ পায়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন। কিন্তু মেরে দেন বাইরে।
বারবার সুযোগ মিসের খেসারত দিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে থাকতে হয়েছে গোলশূন্য।
বিরতির পর আর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ইংল্যান্ডকে।
৫১ মিনিটে মার্কাস র্যাশফোর্ডের অসাধারণ গোল। ফ্রি কিক থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে এগিয়ে দেন র্যাশফোর্ড।
ঠিক দুই মিনিটের মাথায় লিড ২-০ করেন ফিল ফোডেন। বক্সের ভেতর দুর্দান্ত এক পাস দেন হ্যারি কেন। গোলকিপারকে একা পেয়ে জালে বল জড়াতে ভুল করেননি ফোডেন।
ম্যাচের ৬৮ মিনিটে আবারও এগিয়ে যায় ইংলিশরা। আবার মার্কাস র্যাশফোর্ড, ওয়েলস রক্ষণকে বোকা বানিয়ে দারুণ এক গোল করেন তিনি। এটি বিশ্বকাপের মঞ্চে ইংল্যান্ডের শততম গোল।
সেখান থেকে আর ফেরা সম্ভব ছিল না ওয়েলসের। হেরে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। ৩ ম্যাচ ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ শীর্ষে শেষ করে ইংল্যান্ড।
গ্রুপ পর্ব থেকেই শেষ হয় ওয়েলসের বিশ্বকাপ অভিজান। নায়ক হয়ে ওঠা হলো না গ্যারেথ বেলের। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিততে বেলের ওপরেই ভরসা করেছিল ওয়েলস। কিন্তু গোটা ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া গেলো না তাকে।
অপর ম্যাচে ইরানকে ১-০ গোলে বি গ্রুপের রানারআপ হিসেবে শেষ ষোলোতে নাম লেখায় যুক্তরাষ্ট্র।