মেজর জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয়, বরং পাকিস্তানিদের পক্ষের একজন অনুপ্রবেশকারী ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর।
সোমবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘৭ নভেম্বর, মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবসের আলোচনা সভা’ শীর্ষক আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, বঙ্গবন্ধু যখন ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন, তখন অপশক্তিরা বুঝতে পেরেছিল এর মধ্যেই স্বাধীনতার বীজ লুকিয়ে আছে। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে বোঝা যায়, মেজর জিয়া মুক্তিযোদ্ধা নয় বরং তিনি ছিলেন পাকিস্তানিদের পক্ষ থেকে একজন অনুপ্রবেশকারী। যিনি মোশতাকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে চক্রান্তের পরিকল্পনা করেছেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনেক বই প্রকাশিত হলেও মেজর জিয়াকে নিয়ে লেখা কোনো বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তিনি সীমান্তে গিয়ে যুদ্ধ করেছেন এমন কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরেই তিনি চক্রান্ত শুরু করেছেন।
তিনি আরও বলেন, মেজর জিয়া থেকে শুরু করে আজকের বিএনপি-জামায়াতের সব নাশকতা একই সূত্রে গাঁথা। এরা বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চায়। যারা মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে হত্যা করেছে, তাদের এ দেশে রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। ট্রুথ কমিশন বা যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তার মাধ্যমে প্রকৃত খুনিদের বিচার করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সভাপতি ড.খন্দকার বজলুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নাহিদ ইজাহার খান এমপি, শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফের কন্যা মাহজাবিন খালেদ, মেজর জেনারেল গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম ও বিচারপতি এইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক প্রমুখ।