সাভারে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় ৭ মাসের একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। জানা গেছে সাভারের অনুমোদনবিহীন রেজিয়া ক্লিনিকে সোহাগ নামের ৭ মাসের এক শিশুকে সুন্নতে খতনা করতে আনা হয়। অননুমোদিত রেজিয়া ক্লিনিকের নেপথ্য ব্যক্তিদের একজন ঢাকা শিশু হাসপাতালের ডাক্তার টিটু। সুন্নতে খতনা করার জন্য হাসপাতালে আসার পর ব্যক্তিগত কাজ থাকায় তাড়াহুড়া করে অজ্ঞানের ইনজেকশন দিয়ে সোহাগের সুন্নতে খতনা করা হয়। শিশুটির জ্ঞান ফিরে না আসার কারণে ডাক্তার টিটুকে বার বার কল করা হলেও সে এড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে শিশুটিকে এনাম মেডিকেলে নেয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে। কর্তব্যরত ডাক্তার জানান ভুল মাত্রায় এনেসথেশিয়া দেয়ার কারণে শিশুর মৃত্যু হয়।
এদিকে মৃত শিশুটির বাবা মা ও আত্মীয়রা রেজিয়া হাসপাতালে এসে কর্তৃপক্ষের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা: টিটু রাতুল নামের এক সাংবাদিককে পাঠান। রাতুল নিজেকে ভোরের কাগজের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে তাদেরকে হুমকি দান করে। এক পর্যায়ে লাশ দাফন করতে না দিয়ে পুলিশের মাধ্যমে গ্রেফতার করাবে বলে ভয় দেখালে গ্রামের সরল সহজ পিতা-মাতা কান্নাকাটি করে ছেলের লাশ নিয়ে বাড়ি চলে যান!
শিশু হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, ডাক্তার টিটু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আসা শিশুদের নানা অজুহাতে শিশু হাসপাতাল থেকে সাভারের রেজিয়া হাসপাতালে প্রেরণ করে চিকিৎসা বাবদ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেন। শিশু হাসপাতালের দালাল সিন্ডিকেটসহ একটি চক্র বিভিন্নভাবে রুগীদের হয়রানি করে অর্থ হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ বহুদিনের।
জানা গেছে, সাভারে প্রায় শতাধিক অনুমোদন বিহীন হাসপাতাল রয়েছে। রাতুলসহ কয়েকজন অসাধু সাংবাদিক উক্ত হাসপাতালগুলো থেকে প্রতি মাসে মোটা অংকের মাসহারা পায়।
সবশেষ খবরে জানা গেছে, রেজিয়া হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার কারণে ভুক্তভোগী হয়েছে অনেকে। কিন্তু পুলিশের ভয় দেখিয়ে রোগিদের তাড়িয়ে দেয়া হয়।
রাতুলসহ দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মৃত শিশুটির মামলা করার সাহস পাচ্ছে না। দোষী ব্যক্তিদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে তারা সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন!
এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। সকলে ডা: টিটু, রাতুল সহ দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন।