বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশনকে বড়সড় ধাক্কাই দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। অনাকাঙ্ক্ষিত হারের কারণে বাদ পড়ার ভয় জেঁকে বসেছিল দলটার ওপর। ওমানের বিপক্ষে চাপের সমুদ্র পাড়ি দিয়ে কক্ষপথে ফিরেছিল টাইগাররা। ঠিক বাঁচা-মরার ম্যাচ না হলেও গতকাল বিশ্বকাপে নবাগত পাপুয়া নিউগিনির (পিএনজি) বিপক্ষে ‘জিততেই হবে’ সমীকরণটা পাড়ি দিয়ে সব চাপের অবসান ঘটিয়েছে মাহমুদউল্লাহর দল। এর ফলে টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার-১২ তথা মূল পর্বে উঠে গেল বাংলাদেশ। গতকাল আল-আমিরাত স্টেডিয়ামে প্রথম রাউন্ডের শেষ ম্যাচে পিএনজিকে ৮৪ রানে পরাজিত করেছে বাংলাদেশ। টি-২০ তে রানের ব্যবধানে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে সর্বোচ্চ ৭১ রানে জয় ছিল আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১২ সালে।
টানা দ্বিতীয় ম্যাচে অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আলো ছড়ালেন সাকিব আল হাসান। ওমানের পর গতকাল পিএনজির বিপক্ষেও জয়ের নায়ক বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। ব্যাটিংয়ে ৩৭ বলে ৪৬ রান করেছেন। স্কোর বোর্ডে কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই উইকেট হারানো বাংলাদেশকে টেনেছেন লিটনের সঙ্গে ৫০ রানের জুটি গড়ে।
বোলিংয়েও টপাটপ উইকেট তুলে নেন সাকিব। ৯ রানে ৪ উইকেট নেন তিনি। পরপর দুই ম্যাচেই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেলেন তিনি। এদিন নিজের অর্জনের খাতাটা আরো সমৃদ্ধ করেছেন তিনি। টি-২০ বিশ্বকাপে সাকিবের উইকেট সংখ্যা এখন ৩৯। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ। এতদিন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদিই (৩৯) ছিলেন চূড়ায়। গতকাল তাকে স্পর্শ করলেন বাংলাদেশের এ বাঁহাতি স্পিনার। মূল পর্বে আফ্রিদিকে ছাড়িয়ে সিংহাসনে বসার অপেক্ষায় সাকিব।
গতকাল টস জিতে ব্যাট করা বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১৮১ রান তুলে। যা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর। এর আগে ২০১৬ সালে ওমানের বিপক্ষে ১৮০ রানই ছিল সর্বোচ্চ। পিএনজির বিরুদ্ধে সাকিব, মাহমুদউল্লাহরাই বড় স্কোর এনে দিয়েছেন। ওপেনার লিটন ২৯, সাকিব ৪৬ রান করে ফিরেন। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ২৭ বলে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। তিনি ৫০ রান করে আউট হন। শেষ দিকে আফিফ ২১, সাইফউদ্দিন অপরাজিত ১৯ রান করেন। পিএনজির পক্ষে মোরেয়া, রাভু, আসাদ ভালা ২টি করে উইকেট নেন।
বাংলাদেশের স্কোর তাড়া করাটা কঠিন কর্মই ছিল পিএনজির জন্য। ১৯.৩ ওভারে ৯৭ রানে অলআউট হয় দলটি। সাকিবের ঘূর্ণিতে ২৯ রানেই ৭ উইকেট হারায় দলটি। আট নম্বরে নেমে কিপলিন ডোরিগা কিছুটা লড়াই করেছেন। অপরাজিত ৪৬ রান করেন তিনি। দুই অঙ্কের ঘর পার হওয়া আরেক ব্যাটসম্যান সপার ১১ রান করেন। বাংলাদেশের তাসকিন-সাইফউদ্দিন ২টি করে, মেহেদী হাসান ১টি উইকেট পান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৮১/৭
ওমান :১৯.৩ ওভারে ৯৭
ফল : বাংলাদেশ ৮৪ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা : সাকিব আল হাসান (বাংলাদেশ)