কুমিল্লায় দুর্গাপূজার মণ্ডপে কোরআন শরিফ পাওয়ার ঘটনা জেনেই চট্টগ্রামে সক্রিয় হয়ে ওঠেন সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের সংগঠনের যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের চার নেতা। নগরীর টেরিবাজার, রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় প্রভাব রাখেন— বিএনপি ও জামায়াতের এমন কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিকল্পনা করে শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর নগরীর জেএম সেন হলে পূজা মণ্ডপে হামলার ছক তৈরি করেন। সেই ছক অনুযায়ী মিছিল নিয়ে সাধারণ মুসল্লিদের উত্তেজিত করে হামলার ঘটনা ঘটান।
জেএম সেন হলে হামলার ঘটনায় যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের ৯ নেতাসহ মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পূজা মণ্ডপে হামলার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন। এ নিয়ে হামলার ঘটনায় মোট ১০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক সারাবাংলাকে বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, ভিডিও ফুটেজ, ঘটনাস্থলের ছবি ও গ্রেফতার আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে আমরা নুরুল হক নুরের সংগঠনের কয়েকজন নেতার জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ পেয়েছি। এর ভিত্তিতে আমরা কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারাও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এ পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্যপ্রমাণ আছে,তাতে দেখা যাচ্ছে, তারাই হামলার পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেওয়ার পুরো কাজটি করেছেন। তবে এর সঙ্গে যে আর কেই জড়িত নেই, আমরা সেটি বলছি না। এর সঙ্গে আরও কেউ কেউ জড়িত থাকতে পারে। আমরা তাদের বিষয়েও তদন্ত করছি।’
গ্রেফতার ১০ জন হলেন— মো. নাছির (২৫), মিজানুর রহমান (৩৭), মো. রাসেল (২৬), ইয়ার মোহাম্মদ (১৮), মো. মিজান (১৮), গিয়াস উদ্দিন (১৯), ইয়াসিন আরাফাত (১৯), হাবিবুল্লাহ মিজান (২১), মো. ইমন (২১) ও ইমরান হোসেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার নাছির যুব অধিকার পরিষদের চট্টগ্রাম মহানগরের আহ্বায়ক এবং মিজানুর রহমান সদস্য সচিব। রাসেল ওই সংগঠনের বায়েজিদ বোস্তামি থানা শাখার আহ্বায়ক। এছাড়া ইমন ছাত্র অধিকার পরিষদের চট্টগ্রামের দায়িত্বশীল নেতা। গ্রেফতার ১০ জনের মধ্যে ইমরান হোসেন ছাড়া বাকি সবাই যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে যুক্ত। ইমরান চট্টগ্রাম নগরীর বৌবাজারে কুমিল্লা হোটেলের ম্যানেজার ও জামায়াতের রাজনীতিতে যুক্ত।
ওসি নেজাম উদ্দীন জানিয়েছেন, নাছিরকে সাতকানিয়ার কেরাণীহাট, ইমনকে চকবাজার, মিজানুর রহমানকে চকবাজারের জয়নগর ও রাসেলকে ষোলশহর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের বন্দর, ইপিজেডসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যেভাবে হামলার পরিকল্পনা
এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে, কুমিল্লায় পূজা মণ্ডপে কোরআন শরিফ রাখার খবর পেয়েই যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা গোপন স্থানে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই ১৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিন শুক্রবার (১৫ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর নগরীর আন্দরকিল্লায় শাহী জামে মসজিদের সামনে কথিত কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি ও মিছিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নাছির ও মিজানুর রহমান মূল পরিকল্পনকারী ও সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব নেন। সিদ্ধান্ত হয়, টেরিবাজার ও রিয়াজউদ্দিন বাজারের দোকান কর্মচারীদের উসকানি দিয়ে উত্তেজিত করে মিছিলে শরিক করা হবে।
উল্লেখ্য, টেরিবাজার ও রিয়াজউদ্দিন বাজারের দোকান মালিক ও কর্মচারীদের মধ্যে জামায়াত সমর্থকের আধিক্য আছে। তারা রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকায় জামায়াতের দায়িত্বশীল নেতা মো. সাদেক হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, যিনি কর্মচারীদের একটি সংগঠনেরও নেতৃত্বে আছেন। আর টেরিবাজার এলাকায় ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিএনপি নেতা আব্দুল মান্নানের ভাতিজা ইমরান মাজেদ রাহুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। রাহুলও বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়।
পরদিন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতারা সাদেক ও ইমরান মাজেদ এবং বিএনপি-জামায়াতের স্থানীয় পর্যায়ের আরও কয়েকজন নেতাসহ বৈঠক করেন। বৈঠকে নগরীর আন্দরকিল্লা ও রিয়াজউদ্দিন বাজার থেকে দু’টি মিছিল বের করার সিদ্ধান্ত হয়। টার্গেট নির্ধারণ করা হয় রহমতগঞ্জে জেএম সেন হল পূজা মণ্ডপ এবং নন্দনকানন ইসকন মন্দির। মিজানুর রহমান, রাসেল, ইমন ও ইমরান মাজেদকে আন্দরকিল্লায় মিছিল সংগঠিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর রিয়াজউদ্দিন বাজারের গোলাম রসুল মার্কেটের সামনে থেকে নন্দনকানন ইসকন মন্দির পর্যন্ত আরেকটি মিছিলের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাদেককে।
কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আসামির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি ও তদন্তে আমরা তথ্য পেয়েছি, নাছির মূল পরিকল্পনা করেন। সঙ্গে ছিলেন মিজান। অর্থাৎ নাছির ও মিজান মিলে হামলার পরিকল্পনা থেকে বাস্তবায়নের ছক সাজান। তবে নাছির ঘটনাস্থলে আসেননি। মিজান, রাসেল, ইমন ও ইমরান মাজেদ আন্দরকিল্লায় এবং সাদেক রিয়াজউদ্দিন বাজারে মুসল্লিদের সংগঠিত করার দায়িত্ব পেয়েছিলেন। যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ভাগ হয়ে উভয়দিকে ছিলেন।’
মুসল্লিদের উত্তেজিত করে হামলা
পুলিশ জানিয়েছে, পূর্বনির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজের পর রিয়াজউদ্দিন বাজারের গোলাম রসুল মার্কেট থেকে মিছিল রাইফেল ক্লাব হয়ে নন্দনকানন ইসকন মন্দিরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল। মিছিলে শতাধিক লোকজন ছিলেন, যাদের অধিকাংশই রিয়াজউদ্দিন বাজারের দোকান কর্মচারী এবং সাধারণ মুসল্লি। জামায়াত নেতা সাদেক মিছিল বের করে দিয়ে সরে পড়েন। মিছিল নন্দনকাননের বোস ব্রাদার্স পর্যন্ত যাওয়ার পর পুলিশ সেটি আটকে দেয়। এসময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়। তবে পুলিশ অনড় থাকায় তারা মিছিল নিয়ে ইসকন মন্দির পর্যন্ত যেতে না পেরে ফেরত যায়।
অন্যদিকে, জুমার নামাজের পর হঠাৎ টেরিবাজারের দিক থেকে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের সামনে দিয়ে মিছিল এগিয়ে যায় আন্দরকিল্লায়। সেই মিছিলেও শ’খানেক লোক ছিলেন। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন মিজানুর, রাসেল, ইমন ও ইমরান মাজেদ। তাদের অধিকাংশই টেরিবাজার ও খলিফাপট্টি এলাকার বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী।
পুলিশ বলছে, মিছিলটি জামে মসজিদের মূল ফটকে পৌঁছালে তারা উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকেন। তখন কিছু সাধারণ মুসল্লি তাদের সঙ্গে যোগ দেন। সেই মিছিল চেরাগি পাহাড়ের দিকে এগিয়ে যায়। মিছিল রহমতগঞ্জের মোড় অতিক্রমের সময় হঠাৎ ৩০-৪০ জন তরুণ-যুবক জেএম সেন হলের দিকে এগিয়ে যান। তারা পূজা মণ্ডপের তোরণ ভাঙচুরের চেষ্টা করে। ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। তখন পুলিশ গুলি ছুঁড়লে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। পুলিশের হিসাব অনুযায়ী, হামলা ঠেকাতে ৪৫ রাউন্ড শটগান ও ৪৫ রাউন্ড পিস্তলের গুলি ছোঁড়া হয়।
ওসি নেজাম উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা শুধু বিএনপি জামায়াত নয়, সরকার বিরোধী বিভিন্ন চক্রকে কাজে লাগায়। পরিকল্পনা করে তারা বিএনপির কিছু নেতাকর্মীকে ব্যবহার করেছে, জামায়াত-শিবিরও তাদের সঙ্গে ছিল। তাদের পরিকল্পনাই ছিল, তারা সাধারণ মুসল্লিদের উত্তেজিত করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে। সে অনুযায়ী তারা শ্রমিক, দোকান কর্মচারী, নিম্ন আয়ের লোকজনদের নিয়ে মিছিল শুরু করে। তাৎক্ষণিক মিছিল নিয়ে এসে সাধারণ মুসল্লিদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করে। তাদের কয়েকজনের মাধ্যমে হামলা চালায়। পুলিশ সেদিন গুলি না ছুঁড়লে জেএম সেন হলের মণ্ডপে তারা আরও বড় ধরনের নাশকতা করত।’
‘বাঁশের কেল্লার অ্যাডমিন থেকে যুব পরিষদের নেতা’
পুলিশ জানিয়েছে, নাছির, মিজান ও রাসেল— তিন জন আগে ছাত্রশিবিরের দায়িত্বশীল নেতা ছিলেন। গ্রেফতার হওয়া বাকিরাও ছাত্রশিবিরের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যুক্ত। মিজানুর রহমান ২০১৩-১৪ সালে বাঁশের কেল্লা ফেসবুক পেজের অ্যাডমিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। জামায়াত-শিবির কোণঠাসা হয়ে প্রকাশ্য রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ায় তারা এখন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরুর সংগঠনের মাধ্যমে সংগঠিত হচ্ছে বলে পুলিশের দাবি।
ওসি নেজাম উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সবশেষ যে ১০ জনকে আমরা গ্রেফতার করেছি তাদের সবাই শিবিরের সঙ্গে যুক্ত। প্রকাশ্যে শিবিরের পরিচয় না দিয়ে তারা যুব ও ছাত্র অধিকার পরিষদের পরিচয় দেয়। তারা নিজেরাই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বিষয়টি স্বীকার করেছে। তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট দেখেও আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। মিজানুর রহমান বাঁশের কেল্লার অ্যাডমিন ছিল। এখনো তাদের কাজ হচ্ছে সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপ পরিচালনা করা। নিয়মিত সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যুতে উসকানি দেওয়া, বিভিন্নভাবে গুজব রটিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা তাদের কাজ।’
‘বামপন্থি’ও সাজতেন মিজানুর
জেএম সেন হলের পূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনার পর রাসেল ও মিজানুর রহমানের মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার ছবি পায় পুলিশ। এরপর তাদের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুলিশ জানিয়েছে, মিজানুর রহমান চট্টগ্রামে বিভিন্ন সামাজিক ও নাগরিক আন্দোলনে সক্রিয় থাকেন। জোনায়েদ সাকীর সংগঠন গণসংহতি আন্দোলনের চট্টগ্রামের সমন্বয়ক হাসান মারুফ রুমীর সঙ্গে সিআরবি রক্ষার আন্দোলনে ছিলেন মিজানুর। এছাড়া সম্প্রতি চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে গণসংহতি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফরউল্লাহ চৌধুরী ও জোনায়েদ সাকী অতিথি ছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে মিজানুর রহমানও যোগ দিয়েছিলেন। এ সংক্রান্ত ছবিও পুলিশ পেয়েছে।
ওসি নেজাম উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘মিজানুর রহমান অসম্ভব ধূর্ত। জামায়াত-শিবিরের পরিচয় আড়াল করার জন্য সে যুব অধিকার পরিষদের ব্যানার ব্যবহার করে। সেই পরিচয়ে জোনায়েদ সাকীর দলের বিভিন্ন প্রোগ্রামে হাসান মারুফ রুমীর সঙ্গে অংশ নেয়। নিজেকে বামপন্থি বা নাগরিক আন্দোলনের নেতা হিসেবে পরিচিত করানোর জন্য সে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেয়। আমরা তাকে সিআরবি রক্ষার আন্দোলনেও সক্রিয় দেখেছি হাসান মারুফ রুমীর সঙ্গে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসান মারুফ রুমী সারাবাংলাকে বলেন, ‘মিজানুর রহমানের সঙ্গে আমাদের কোনো সাংগঠনিক যোগাযোগ নেই। সে নুরুর সংগঠন যুব অধিকার পরিষদ করে। সিআরবি রক্ষার জন্য মানববন্ধন করছিল তারা। আমি ওইদিক দিয়ে হেঁটে আসছিলাম। তারা আমাকে ডেকে সেখানে নেয়। এর আগে-পরে আরও কয়েকটি কর্মসূচিতে তারা আমাকে দাওয়াত দিয়ে নিয়ে যায়। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসে সে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখতে চেয়েছিল। আমরা দিইনি। আমাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ নেই, তবে তার কথাবার্তায় আমাদের কাছে তাকে প্রো-রাইটিস্ট মনে হতো। এজন্য আমাদের প্রোগ্রামে এলে আমরা তাকে নজরদারিতেও রাখতাম।’
এদিকে, পূজা মণ্ডপে হামলার ঘটনায় সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতারের পর সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ফোন করেন নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক ও কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দীনকে।
জানতে চাইলে বিজয় বসাক সারাবাংলাকে বলেন, ‘নুরুল হক নুর সাহেব আমাকে ফোন করেছিলেন। তিনি বলেছেন, তিনি নিরপেক্ষ তদন্ত চান। কাউকে যেন অহেতুক হয়রানি করা না হয়। আমি বলেছি, সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও ফুটেজ ও গ্রেফতার হওয়া আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দির ভিত্তিতে তার সংগঠনের কয়েকজন নেতাকে ধরা হয়েছে। কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে জানার জন্য নুরুল হক নুরের দু’টি মোবাইল নম্বরে ফোন করে দু’টিই বন্ধ পাওয়া গেছে। ফলে তার বক্তব্য জানতে পারেনি সারাবাংলা।
সূত্র- সারাবাংলাডটনেট