জাতিসংঘ সদর দফতরে প্রদর্শন হয়েছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় বিকেলে পদ্মা সেতুর ওপর আলোকচিত্রের প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় অভ্যন্তরীণ উন্নয়নসহ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পদ্মা সেতুর গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
এরপর স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সম্মানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া সংবর্ধনায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু। জাতিসংঘ সদর দফতরের অভ্যন্তরে প্রদর্শন হলো বিশ্বের প্রকৌশল বিস্ময় এ সেতুর ২৫টি আলোকচিত্র। জাতিসংঘের কনফারেন্স বিল্ডিংয়ের এক নম্বর ফ্লোরে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। এ অনুষ্ঠানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ল্যু জেমিন ও ইকোসকের প্রেসিডেন্ট লোশিজারা স্টোভা উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা সেতুর ওপর প্রদর্শিত ডকুমেন্টারিতে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত প্রদর্শনীতে ছিল সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর থেকে শুরু করে নির্মাণপর্ব, উদ্বোধন এবং সেতুর দিন ও রাতের নান্দনিক সৌন্দর্যের উপস্থাপনা ও সেতুর ২৫টি আলোকচিত্র।
এর আগে স্থানীয় সময় দুপুরে অর্থনৈতিক ফোরাম আয়োজিত গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ চ্যাম্পিয়নদের গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক সংহতির আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এ যুদ্ধ বিশ্বের অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করেছে এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে নতুন চ্যালেঞ্জ যোগ করেছে। বিশেষ করে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়া দেশ এবং উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ছয় দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন সরকারপ্রধান।
এর আগে স্থানীয় সময় সকালে প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থল হোটেল লোটে নিউইয়র্ক প্যালেসে টেকসই আবাসনবিষয়ক এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নেন তিনি।
এ সময় সরকারপ্রধান বাংলাদেশে গৃহহীনদের বাড়ি তৈরির সরকারি উদ্যোগ আশ্রয়ণ প্রকল্পের বিভিন্ন ইতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা করেন। তুলে ধরেন কীভাবে বদলে যাচ্ছে ছিন্নমূল মানুষের জীবন।
বিশ্বের সবার মাথা গোঁজার ঠাঁই বা আবাসস্থল নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক পরিসরের কার্যকর উদ্যোগের সঙ্গে কাজ করতে বাংলাদেশ সবসময় প্রস্তুত বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
টেকসই আবাসনবিষয়ক উচ্চপর্যায়ের এ সভায় পৃথিবীকে গৃহহীনতার অভিশাপ থেকে মুক্ত করতে বিশ্বনেতাদের জোরালো অংশীদারত্ব নিশ্চিত করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।