করোনা মহামারিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও বেশি মৃত্যুর ‘দগদগে ক্ষত’ শুকোয়নি এখনও। ভয়াবহ ধাক্কা কিছুটা সামলে স্কুল খুলে দেওয়ার পর নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে বিশ্বের প্রভাবশালী এই দেশটি। স্কুল খুলে দেওয়ার পর সেখানকার শিশুরা ব্যাপক হারে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হচ্ছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস ও চিলড্রেনস হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশনের নতুন এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগের এক সপ্তাহে দেশটিতে প্রায় দুই লাখ ৫২ হাজার শিশু আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।
এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটিতে লাখ লাখ শিশু ক্লাসরুমে ফিরেছে, আর এর মধ্য দিয়ে দেশটি নতুন করে আবার গভীর এক সঙ্কটের মধ্যে পড়ছে। প্রতি সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক শিশু করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন।
খবরে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির শুরুর পর থেকে ৫০ লাখেরও বেশি শিশু করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত আগস্ট মাসেই শনাক্ত হয়েছে সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি এবং এটি ‘দ্রুতগতিতে’ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে সংক্রমণের সংখ্যা জুন মাসের তুলনায় আগস্টের শেষের দিকে ৩শ গুণ বেড়েছে।
সাপ্তাহিক প্রতিবেদন প্রকাশকারী সংস্থা আমেরিকান একাডেমি অব পেডিয়াট্রিকস ও চিলড্রেনস হসপিটাল অ্যাসোসিয়েশন বলছে, বর্তমানে শিশুদের মধ্যে করোনায় মৃত্যু এবং গুরুতর অসুস্থতার এই হার ‘অস্বাভাবিক’। সংস্থাগুলো এ বিষয়ে আরও সতর্ক হওয়ার কথা বলেছে।
সংস্থা দুটি বলছে, এর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কী হতে পারে- এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এছাড়া ভাইরাস সংক্রমিত শিশুদের দীর্ঘমেয়াদে শারীরিক স্বাস্থ্যের কী কী ক্ষতি হতে পারে, পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে- সে বিষয়েও আরও তথ্য বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।