সেনাবাহিনী মাঠে নামায় শৃঙ্খলা এসেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে—তবে সরকারি বেসরকারি পর্যায়ে সুযোগ সুবিধা অব্যাহত থাকলেও কক্সবাজার ছেড়ে অন্যান্য এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করছে রোহিঙ্গারা।
এদিকে এইডসে আক্রান্ত দুই রোহিঙ্গা নারী ভর্তি হয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ার জনাকীর্ণ এই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজ সমন্বয়ে শনিবার থেকে কাজ করছে সেনাবাহিনী। তাদের তত্ত্বাবধানে শরণার্থীদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়ও প্রশাসনকে সহায়তা করছেন সেনা সদস্যরা। এতে শৃঙ্খলা ফিরেছে ওই এলাকায়।
আন্তর্জাতিক সংস্থা, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংগঠন, রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে রোহিঙ্গাদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। তবে এরমধ্যেই অনেক রোহিঙ্গা কক্সবাজার ছেড়ে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করছেন। রোহিঙ্গাদের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়া রোধে বিভিন্ন চেকপোস্টে তৎপর রয়েছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। এ পর্যন্ত ৫ হাজার ১৯৮ জন রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করে উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, উখিয়ার শরণার্থী শিবির থেকে রোববার রাতে এইডস আক্রান্ত দুই নারী রোহিঙ্গা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে পুলিশ চেকপোস্ট ও সেনাক্যাম্পে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর থেকে ২৫ আগস্ট ভোর থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে নতুন করে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। শরণার্থীদের সংখ্যা এরইমধ্যে চার লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে।