গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলায় অবৈধভাবে মজুদ রাখার অভিযোগে প্রায় ১১২ মেট্রিক টন চাল জব্দ ও পাঁচটি গুদাম সিলগালা করা হয়েছে।
শনিবার রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) আশিক রেজা উপজেলার ঢোলভাঙ্গা বাজারের মের্সাস খন্দকার ট্রেডার্সের পাঁচটি গুদামে অভিযান চালিয়ে এসব চাল জব্দ করে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) আশিক রেজা জানান, গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ নিয়ে সাদুল্যাপুর উপজেলার ঢোলভাঙ্গা বাজারে হারুনার রশিদের মালিকানাধীন মের্সাস খন্দকার ট্রের্ডাসে অভিযানে চালানো হয়।
তিনি জানান, খন্দকার ট্রেডার্সের পাঁচটি গুদামে অবৈধভাবে মজুদ করা ৫০ কেজি ওজনের দুই হাজার ২২৬ বস্তা চাল পাওয়া যায়, যার মোট ওজন প্রায় ১১২ মেট্রিক টন। এসব চাল জব্দের পাশাপাশি গুদামগুলোতে থাকা ৩ হাজার ১৭১টি খালি চটের বস্তা ও নগদ ১০ লাখ ৫৮ হাজার ৬৬৯ টাকাও জব্দ করা হয়।
শনিবার রাতে গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ঢোলভাঙ্গা বাজারে মেসার্স খন্দকার ট্রেডার্সের গুদামে অভিযান চালানো হয়— সমকাল
আশিক রেজা আরও জানান, অভিযানের সময় খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক চাল মজুদের বৈধ কোনো কাগজ দেখাতে পারেননি। এ ঘটনায় খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক হারুনার রশিদের নামে পলাশবাড়ী ও সাদুল্যাপুর থানায় পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
খন্দকার ট্রেডার্সের মালিক হারুনার রশিদ পলাশবাড়ী উপজেলা ঝালিঙ্গী গ্রামের প্রয়াত মোজ্জাম্মেল হক খন্দকারের ছেলে। তিনি জানান, বাজারে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা সংকটের কারণে বিক্রী করতে না পারায় চাল মজুদ বেশি হয়েছে।